হাওরের এলংচিয়া খালে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার জেরে গরু আটকের ঘটনায় সীমান্তবর্তী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নেত্রকোনার কেন্দুয়া ও মদনের মাহমুদপুর ও চন্দ্রতলা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় কেন্দুয়া উপজেলার মামুদপুর গ্রামের কদর আলীর ৬ টি গরু ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে মদন উপজেলার চন্দ্রতলা গ্রামের আবু বক্করের বিরুদ্ধে। সংর্ঘষের সময় কদর আলীর ছেলে এনামুল হককে মারধর করে মারাত্মক আহত করার অভিযোগও উঠে। এর আগে গত রবিবার (৭ এপ্রিল) মদন উপজেলার চন্দ্রতলা গ্রামের ৩ টি গরুকে কেন্দুয়া উপজেলার হাওর রকক্ষ দুলাল মিয়া কর্তৃক আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার কেন্দুয়া এলাকায় এলংচিয়া হাওরের খালের মাঝে পার্শ্ববর্তী মদন থানার চন্দ্রতলা গ্রামের তরুন মিয়া আবু বক্করসহ ৭/৮ জন মাছ শিকারের জন্য খালে বাঁধ দিতে চেষ্টা করে। বাঁধের কারণে ফসলের ক্ষতি হবে দাবি করে কেন্দুয়ার মামুদপুর গ্রামের কয়েকজন বাঁধা দেন। এতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধের জেরে ওই দিনই চন্দ্রতলা গ্রামের কয়েকজন মামুদপুর গ্রামের স্কুল ছাত্র কাইয়ুম ও স্বজন নামে দুইজনকে মারধর করে চলে যায়।
পরে সন্ধ্যার দিকে চন্দ্রতলা গ্রামের ৩টি গরুর মালিক না পাওয়ায় মামুদপুর গ্রামের হাওর রক্ষক দুলাল মিয়া তার জিম্মায় রাখে। এসব ঘটনায় ৩দিন ধরে নদীর দুই পাড়ের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা চলে আসছিল। এরই ধারবাহিকতায় বুধবার সকালে নদীতে গরুর গোসল করাতে নিয়ে গেলে মামুদপুর গ্রামের কদর আলী ছেলে এনামুল হককে চন্দ্রতলা গ্রামের কয়েকজন মিলে মারধর করে ৬টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কেন্দুয়া থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী এবং মদন থানার ওসি রমিজ উদ্দিন জানান, আমরা দুই থানার পুলিশসহ উভয় এলাকার গণ্যমাণ্যদেরকে ডাকছি। দুই পক্ষের ছিনিয়ে নেওয়া গরুগুলো ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে মীমাংসার আলোচনা চলছে। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর