শিরোনাম
- সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)
- বিটিভির পর্দায় মাসজুড়ে ‘৩৬ জুলাই
- বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
- বস্ত্র ও পোশাক খাতের জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় চায় বিজিএমইএ
- সব বাধা অতিক্রম করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে : রিজভী
- পুলিশের অস্ত্র অপরাধীদের হাতে
- জুনে বেড়েছে ধর্ষণ-গণপিটুনিতে হত্যা
- ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা!
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীর বাগমারায় গরু চোর সন্দেহে ইব্রাহীম হোসেন (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। হত্যার ঘটনায় মজনু নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার সকালের দিকে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের কালাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গরু চুরির অভিযোগ তুলে উপজেলার কালাপাড়া গ্রামে তাকে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করা হয়। পরে আহত ইব্রাহীম হোসেনকে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ও শুক্রবার রাতে একই ইউনিয়নের কালাপাড়া গ্রাম থেকে চারটি ও পার্শ্ববর্তী মাঝগ্রাম থেকে আরো চারটি গরু চুরি হয়। এসব চুরি ঘটনায় ভুক্তভোগি কৃষক ও এলাকার লোকজন কামারবাড়ি গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনকে সন্দেহ করে বুধবার সকালে স্থানীয় আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে তাকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে কালাপাড়া গ্রামে নিয়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে বিক্ষুদ্ধ জনগণ কালাপাড়া গ্রামে গিয়ে ইব্রাহীমের ওপর নির্যাতন ও গণপিটুনি শুরু করে। গণপিটুনির এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান হারানোর পর বিকালে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে ইব্রাহীম হোসেনের পরিবারের অভিযোগ, এলাকার লোকজন পরিকল্পিত ভাবে ইব্রাহীম হোসেনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে।
ইব্রাহিমকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া আতিকুর রহমান জানান, তিনি গরু চুরির বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। ইব্রাহিমকে সন্দেহ করা হচ্ছে জানালে ওসি তাকে (ইব্রাহিম) ধরে শায়েস্তা করার কথা বলেছিলেন।
বাগমারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল কবীর জানান, ‘একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে আমাদের কাছে আনা হয়েছিল। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, তিনি আতিকুর রহমানকে এমন কোনো কথা বলেননি। বরং আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এ হত্যার ঘটনায় মজনু নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বাকিদের আটকের চেষ্টা করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর