২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ১৭:৩৮

টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ, আসামির রিমান্ড

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ, আসামির রিমান্ড

প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে গোপালপুরের বহুল আলোচিত পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আল আমীন ও তার ভাই সুমনের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বুধবার ৪ টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস এই রিমান্ড আদেশ দেন। এদিকে আল আমিনের মা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ধর্ষিতার মা মামলার বাদী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। বর্তমানে এই মামলায় ৩ জন গ্রেফতার রয়েছে।

এরআগে মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব সদস্যরা। এরপর বুধবার আসামী আল আমীনকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষিত কিশোরীর দোভাষির মাধ্যমে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নওরিন মাহবুব এর কাছে ২২ ধারার জবানবন্দী প্রদান করেছেন। বর্তমানে ধর্ষিত কিশোরী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশী হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল আদালতের মাধ্যমে জানা যাবে। কিশোরীর জন্য ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সে এখন বিপদমুক্ত আছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালপুর থানার এসআই সাদেকুর রহমান বলেন, আসামী আল আমিন ও তার ভাইয়ের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত তাদের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার ভাই সুমন অপহরণের সাথে জড়িত ছিল।  

গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ভিসা নিয়ে পাকিস্তান থেকে মায়ের সাথে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই কিশোরী। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক এবং সেখানকার ছাত্রী। গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় তাকে কাকার বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে তার আপন চাচাতো ভাই। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এমতাবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল বুধবার রাতে আল আমীনসহ তিনজনকে আসামি করে মেয়েটির নীলুফার বেগম গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। ওইদিনই আল আমিনের মাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর