২৫ জুন, ২০১৯ ১৭:১৭

চিরিরবন্দরে বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ১০ গ্রামের দুর্ভোগ

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

চিরিরবন্দরে বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ১০ গ্রামের দুর্ভোগ

“বাহে এ্যাইঠে হামাক একখ্যান পুল বানে দ্যাও। এ্যাইঠে পুল না হইলে হামার যে খুব অসুবিধা হচে। কতদিনে যে এ্যাইঠে এ্যাকখান পুল হইবে। হামার এ্যাইলার দুঃখ ঘুচিবে।” 

কথাগুলো বলছিলেন, চিরিরবন্দরের নশরতপুর গ্রামের ঈদগাহ্ মাঠ সংলগ্ন বাসিন্দা আমেনা বেগম (৬৫)। তিনি আরও বলেন, “হামরা নদীর ওই পারত যায়া আবাদ করি, গরু-ছাগলগুলাক ঘাস খাওয়াই।” 

কিন্তু বাশেঁর সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় তারা এসব কাজকর্ম করতে পারছেন না। তাদেরকে দূর দিয়ে ঘুরে গিয়ে কাজ কর্ম সারতে হয়। 

চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি রাণীরবন্দর হাটের উত্তর-পূর্ব কোণে ইছামতি নদীর ওপরে নির্মিত প্রায় ৭০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটি। চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই কালো বৈশাখীর ঝড়ে ভেঙ্গে গিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে সাঁকো দিয়েও চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের। 

স্থানীয়রা জানান, সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি, দুবলিয়া, লালদিঘী, ক্যানেলেরবাজার, পীরেরহাট এবং চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর, আলোকডিহি, গছাহার, চকগোবিন্দ, উত্তরপলাশবাড়িসহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বাঁশের সাঁকোটি দিয়েই এসব এলাকার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ হাজার লোক যাতায়াত করে থাকেন। 

চিরিরবন্দরের নশরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর ইসলাম শাহ্ নুরু জানান, এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি এই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের। তা পূরণ হতে চলেছে। এখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর