ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার প্রবীণ ডাক্তার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শ্রী পীযূষ কান্তি রায় (৮০) আর নেই।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুলপুর পৌর শহরের ছনকান্দা বাজারের নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি পরলোক গমন করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বাবা স্বর্গীয় ডাক্তার পরেশ চন্দ্র রায়ও একজন নামকরা ডাক্তার ছিলেন।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে পীযূষ কান্তি রায় মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। ভারতের মেঘালয়ের চান্দু ভূঁই শরণার্থী রিলিফ ক্যাম্পে ও মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং ক্যাম্পে তিনি একজন ডাক্তার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
দেশ স্বাধীনের পর তিনি হালুয়াঘাটের জয়রামকূড়া মিশনারী হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন।
তার সহধর্মিনী ঝর্ণা রায় জানান, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটে এলএমএফ অধ্যয়নকালীন প্রোগ্রামটি বন্ধ হয়ে গেলে এবং পরবর্তীতে এমবিবিএস শিক্ষা চালু হলে সেখানে তিনি প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসা প্রশিক্ষণের জন্য পীযূষ অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন।
চাকরি শেষে তিনি নিজ বাসায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন।
প্রায় দেড় বছর আগে পীযূষ কান্তি রায় লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে নিজের চিকিৎসাসহ স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যান তিনি। দেড় মাস আগে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ভারত ও পরে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। অবস্থার আরও অবনতি হলে কয়েক দিন আগে হাসপাতাল থেকে তাকে নিজ বাসায় আনা হয়।
প্রয়াত ডা. পীযূষ কান্তি রায় উত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে চিকিৎসা সেবায় অসামান্য ভূমিকা রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সরকারি বেসরকারি, রাজনৈতিক, সামাজিক সংস্কৃতিক বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম