লাখো পুণ্যার্থীর শ্রদ্ধায় সিক্ত রাঙামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘ। আর মহাদানযজ্ঞের মধ্যদিয়ে শেষ হলো পার্বত্যাঞ্চলের কঠিন চীবর দানোৎসব। শুক্রবার বিকাল ৩টায় কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে রাঙামাটি রাজবন বিহারের ৩২ একর বিস্তৃত এলাকা পরিণত হয় লোকারণ্যে।
এ মহাপুণ্যানুষ্ঠানে সদ্ধর্মানুরাগী অগণিত পূণ্যার্থীর পাশাপাশি ঢল নামে হাজার হাজার দর্শনার্থীর। সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক নারী-পুরুষের মহাসম্মিলনে পুরো বিহার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাজারও মানুষের পদাভারে রাজপথ থেকে সমগ্র রাজবন বিহার এলাকা। যেন তিল ধারণের জায়গাটুকু অবশিষ্ট ছিল না কোথাও। লাখো মানুষের কণ্ঠে সাধু, সাধু, সাধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় পুরো রাজবন বিহার।
রাজবন বিহার মাঠে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ শীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিপ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। পরে তিনি পরিনির্বাণগত বনভান্তের উদ্দেশ্যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি চীবর ভিক্ষুসংঘের হাতে তুলে দেন।
রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা। এছাড়া রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মইনুর রহমান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম, রাঙামাটি রিজিয়নের জেনারেল স্টাফ অফিসার (জিটু আই) মেজর মহিউদ্দিন ফারুকী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান ও রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক