নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের বাসিন্দা আজাহার প্রামাণিক। শারীরিক প্রতিবন্ধী আজাহার পেশায় একজন দিনমজুর। দিন এনে দিন খেয়ে কোন রকমে পরিবার নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। নেই কোনো সম্পত্তি, বাড়ি বা ঘর। গ্রামেই বোনের বাড়িতে টিনের একটি চাল তুলে পরিবার নিয়ে সেখানে চলছে দিন।
বড় ছেলে সবুজ প্রামাণিক পেশায় দিনমজুর, বিয়ে করে আলাদা থাকে। ছোট ছেলে সাগর প্রামাণিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। বাবার সাথে দিনমজুরি করে সংসারে সহযোগিতা করে। অর্থাভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি মেয়ে আরিফা খাতুন। স্থানীয় একান্নবিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষার পরে থেমে যায় তার পড়াশোনা।
বিলদহর বাজারে একটি টিনের দোকানে প্রতিবন্ধী বাপ-ছেলে দিনমজুরি করে অতি কষ্টে সংসার চালায়। বাড়িতে নেই আসবাবপত্র। নেই কোনো শখের জিনিস। শুধু হাড়ি-পাতিল ও থালা-বাসন নিয়েই সংসার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশে ৬ লাখ ৮ হাজার গৃহহীনকে বাড়ি নির্মাণ করে দেবে সরকার এ কথা শোনার পরে আশায় বুক বেঁধেছে এ অসহায় পরিবারটি।
স্থানীয়রা জানান, খুবই অসহায় অবস্থায় দিন যাচ্ছে এ পরিবারের। চার সদস্যের পরিবারে দুজনই প্রতিবন্ধী। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই তাদের। সংসারে অভাব লেগেই থাকে। সীমিত আয়ে সংসার কোনো মত চলে। কোনো উৎসব এলে ধার করে কেনাকাটা করতে হয়। এ পরিবারের দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।
আজাহার প্রামাণিক বলেন, সরকার অনেক পরিবারকে ঘর-বাড়ি বানিয়ে দেয়। আমি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ। পরিবার নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছি। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন একটি বাড়ি যেন আমাকে দেয়।
সিংড়ার মানবাধিকার ও সমাজকর্মী আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, সরকারের উচিত এমন অসহায় পরিবারকে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে দেয়া। এছাড়াও সমাজের বিত্তবানদের উচিত অসহায় ও মানবতার পাশে দাঁড়ানো।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন