জাতীয় চিড়িয়াখানার ১৩১ প্রজাতির ৩ হাজার ৩৪২টি প্রাণী নগরবাসীর কাছে বিনোদনের অন্যতম আকর্ষণ। বিগত বছরগুলোতে ঈদ ছুটিতে আগত দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে এবার বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এবার ঈদের ছুটিতে ৮ থেকে ১০ লাখ দর্শনার্থীর প্রত্যাশা করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, দর্শনীয় স্থানে জনগণের সুবিধার্থে প্রতিটি প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা লিপিবদ্ধ করার আহ্বান জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। চিড়িয়াখানার নিরাপত্তার জন্য প্রাচীর নির্মাণ, জনবলের ঘাটতি পূরণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ভিড়ে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার প্রতি সতর্ক থাকবে কর্মীরা। ঈদুল আজহার প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি এবার ৮ থেকে ১০ লাখ দর্শনার্থী আসবেন। প্রাণীদের শেডগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং চিড়িয়াখানা সাজানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। প্রবেশদ্বারে এন্ট্রি লাইনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সুসজ্জিত করার জন্য দিকনির্দেশক সাইনবোর্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চিড়িয়াখানার পশুগুলোকে সুস্থ রাখার জন্য, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার আমরা সেগুলো এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছি। রাজধানীর মিরপুরে ১৮৬ একর জায়গায় অবস্থিত এই চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হলেও বিভিন্ন উৎসবে দর্শনার্থীর সমাগম বেড়ে যায় কয়েকগুণ।