নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দুঃসময়ের কান্ডারি বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন চুন্নু মিয়া (লুঙ্গি চুন্নু) রবিবার সকাল সোয়া ১১টায় মাইজদীস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন লিভারে সমস্যায় অসুস্থ থাকার পর রবিবার সকালে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন তোফাজ্জল। মৃত্যুকালে এক মেয়ে, স্ত্রী ও তিন ভাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আগামীকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় মাইজদী শহিদ মিনারে তার প্রথম জানাজা ও সোনাপুর কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম. সামছুদ্দিন জেহান ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদুল্যা খান সোহেলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করেন এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমাবেদনা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর মুজিব আদর্শের সৈনিক তোফাজ্জল হোসেন (লুঙ্গি চুন্নু) প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ফের আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলে আর বিয়ে করবেন না। তাই তিনি নোয়াখালীসহ দেশের সব স্থানে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং ঘাত-প্রতিঘাতে নিজের বিয়ের কথাও ভুলে যান। অবশেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালে ৪৭ বছর বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসেন তোফাজ্জল হোসেন (লুঙ্গি চুন্নু)।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক