কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে ডুবোচরে স্পীডবোট উল্টে গিয়ে আটজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত আটজনের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও একজনের এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রবিবার দুপুরের দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকার ডুবোচরে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান নুর আহমদ।
দুঘটনার শিকার আহত স্পীডবোটের যাত্রী নুর মোহাম্মদ (৩৮)বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে পারিবারিক কাজে টেকনাফ আসছিলেন তিনিসহ তার ভাই মোক্তার আহমদ (৪২), সৈয়দ আহমদ (২২), ভগ্নিপতি হাফেজ মোহাম্মদ রফিক (৩৫) ও মো. মতিউর রহমানসহ (৩৫) পাঁচজন। এসময় চালক মোহাম্মদ খাইরুল (২২) আরও দুজনকে স্পীডবোটে তুলেন।এদের মধ্যে হোটেল ব্লু মেরিনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু তাহের (৬৫) ও অপরজনের নাম জানা যায়নি।
সেন্টমার্টিন জেটিতে থেকে স্পীডবোটটি ছেড়ে কিছুদূর যাওয়ার পর এক পর্যায়ে মিয়ানমার জলসীমানার কাছাকাছি নাইক্ষ্যংদিয়ার এলাকার ডুবোচরে স্পীডবোটটি উল্টে যায়। এসময় যাত্রীরা সকলেই স্পীডবোটের সঙ্গে থাকা রশি ধরে ভাসমান অবস্থায় ছিলেন। তারা সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো ভাসমান থাকার পর শাহপরীর দ্বীপের ডাঙ্গারপাড়ার মোহাম্মদ ইউনুছের মালিকাধীন একটি ফিশিং ট্রলার সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে যাত্রী মোহাম্মদ আবু তাহের ও অজ্ঞাতনামা একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ১০ শয্যা হাসপাতালে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল চিকিৎসক সৈকত হাসান বলেন, স্পীডবোট ডুবিতে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে সুস্থ আছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রবিবার একটি যাত্রীবাহী স্পীডবোট উল্টে গেছে বলে শুনেছি। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে একাধিক ডুবোচর রয়েছে। এসব খনন করা খুবই প্রয়োজন। আগামী জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তোলা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন