চাঁদ দেখে খুশিতে সপরিবার ঘুমিয়ে ছিলেন অটোচালক সিরাজুল ইসলাম। রাত পোহালেই সেমাই লাচ্ছা খেয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যাবেন। সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে সিরাজুলের পরিবারে সেই আনন্দ ঝলসে গেছে। ঘটনাটি রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়। ঈদ আনন্দ তো দূরের কথা এখন খোলা আকাশের নিচে তার পরিবার। ২২ হাত টিনের ঘরই শুধু নয়, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আয়ের একমাত্র সম্বল অটোরিক্সাটিও। বিষয়টি তাড়াশ ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ওই রাতে বাড়ির বারান্দায় রাখা একটি ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানের ব্যাটারিতে বৈদ্যুতিক চার্জ দেওয়ার সময় তা বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন মুহূর্তের মধ্যে অটোচালকের সিরাজুলের ঘরে লেগে, পুরো বাড়িতে তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই অটোচালকের ঘরে রাখা একটি ব্যাটারিচালিত অটো, আসবাবপত্র, ধান, চাল, নগদ টাকাসহ ঘরে রাখা প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের সকল সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে তাড়াশ ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের একটি ইউনিট গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত সোয়া ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ সোমবার সকালে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে নগদ অর্থ সহায়তা করেন এবং একমাত্র উপার্জনের সম্বল একটি অটোভ্যান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।অটোচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, চানরাতে অনেক আনন্দ নিয়ে স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। কিন্তু এক নিমিষেই ঈদ আনন্দ ঝলসে গেছে। খোলা আকাশের নিচে এখন আমার বসবাস। ক্যামনে কি করবো আল্লাহই জানে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন