শিরোনাম
- নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬ দেশ
- বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ট্রেন আটকে রাখল শিক্ষার্থীরা
- সব ধরনের কাউন্টার সেবা বন্ধ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- শীতের দিনেও ব্যায়াম, যা খেয়াল রাখা জরুরি
- প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
- মুখে বলিরেখা সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান
- বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
- শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটিই থামিয়েছি: ট্রাম্প
- নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান
- হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
- ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু
- সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
- হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
- ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
কাউন্সিলরকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলো যুবক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি এলাকাটি মাদকপ্রবণ এলাকা। এখানে কাউকে হেনস্থা করতে চাইলে প্রতিপক্ষরা তার বাড়িতে মাদকদ্রব্য ফেলে যান। এরপর খবর দেওয়া হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। এভাবে গোদাগাড়ী পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন এক যুবক।
এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই যুবকের নাম সোহেল রানা (২৬)। তিনি মাদারপুর কাইয়াপাড়া মহল্লার মো. নঈমুদ্দিনের ছেলে। গতকাল রবিবার (৫ জুলাই) রাত ৩টার দিকে মহিষালবাড়ি মহল্লায় কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন মোফার বাড়ির সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন সোমবার গোদাগাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এতে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- মাদারপুর মহল্লার মৃত মতিউর রহমানের স্ত্রী মুক্তি বেগম (৩৮), আবুল কাশেমের ছেলে আবদুর রহিম (২৬), শহিদুল ইসলামের ছেলে জয় (২২) এবং মিনা খাতুনের ছেলে নিরব আলী (২০)। তারা তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে কাউন্সিলর জিডিতে উল্লেখ করেছেন। গ্রেফতার হওয়া সোহেলও এদের নাম বলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে দুইজন কাউন্সিলর মোফাজ্জলের বাড়ির ছাদে উঠে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ওপর স্কচটেপ মেরে দিচ্ছিলেন। আর বাড়ির সামনে পাহারায় ছিলেন সোহেল। প্রতিবেশি এক ব্যক্তি রাতে বাড়ির বাইরে গিয়ে এসব দেখতে পান। এ সময় তিনি সোহেলকে জাপটে ধরেন। তখন ছাদ থেকে লাফ দিয়ে অন্য দুইজন পালিয়ে যান। এরপর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং আটক সোহেলকে থানায় নিয়ে যায়।
আজ সোমবার দুপুরে তাকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমরানুল হকের সামনে হাজির করা হলে সোহেল নিজের দোষ স্বীকার করেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এমরানুল হক তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠায়।
কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সম্প্রতি নিরবের মা মিনা খাতুন তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরপর থেকেই তিনি তাকে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আতঙ্কে গেল শুক্রবার তিনি বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসান। এরপর রাতে মিনারই লোকজন তার বাড়িতে মাদকদ্রব্য ফেলতে গিয়েছিল। সিসি ক্যামেরা দেখে তারা প্রথমে সেটির ওপর স্কচটেপ বসাচ্ছিল। তখনই এলাকাবাসী একজনকে আটক করে। কিন্তু মাদকদ্রব্য নিয়ে অন্য দুইজন পালিয়ে যায়।
কাউন্সিলর মোফাজ্জল তার জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তার বাড়িতে মাদকদ্রব্য ফেলে দেওয়ার প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও মিনা, মুক্তি, রহিম, জয় ও নিরব তাকে হুমকি দিয়েছেন, যে কোন মূহুর্তে তাকে ফাঁসানো হবে। এতে তিনি আতঙ্কিত। তিনি অভিযুক্তদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিনার বাড়ি ময়মনসিংহ। তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ময়মনসিংহে তার নামে মাদকের মামলা আছে। মাদক ব্যবসার সুবাদেই গোদাগাড়ীতে তার বিয়ে হয়। মিনার ভাই মুন্না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। আরেক অভিযুক্ত মুক্তির স্বামীও গোদাগাড়ীতে নিহত হয়েছেন বন্দুকযুদ্ধে। স্বামীর মৃত্যুর পর মুক্তি নিজেই এখন সামলাচ্ছেন মাদকের কারবার।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, যাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি হয়েছে তারা মাদকের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু মাদকসহ তাদের হাতেনাতে আটক করা যায় না। কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে একজন আটক হলেও তার কাছে মাদক পাওয়া যায়নি। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, যারা পালিয়ে গেছেন তাদের কাছে হেরোইন ছিল। কাউন্সিলরও একই দাবি করছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ তাফসীর
এই বিভাগের আরও খবর