শিরোনাম
২৫ জুলাই, ২০২০ ২১:৪৫

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

দরজায় কড়া নাড়ছে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা। সাতদিন পরেই কোরবানি ঈদ। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কোরবানি করা।

ঈদুল আযহা সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কামার শিল্পের সব কারিগর। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী।

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আযহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে খুশি করতে পশু জবাই করে।

পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়।

ঈদের বাকি আর সাতদিন তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও কামারপল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে। দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কামার পল্লী । আবার এসব ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতে শানের দোকানগুলোতেও ভীড় ক্রমেই বাড়ছে।

সদর উপজেলার কালিবাড়ি, শিবগঞ্জ, মাদারগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। ঠাকুরগাঁও অন্যতম বৃহৎ পাইকারি মাদারগঞ্জ বাজারের কামার পল্লীগুলো এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন দামে ছুরি, বটি, চাপাতি বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে। বড় ছুরির দাম ১২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। ছোট ছুরির দাম ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। দেশি চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এখনো পুরো দমে বিক্রি শুরু। তবে ঈদের ৪-৫ দিন আগেই থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ কামার মনোজ রায় বলেন, এখন আমরা তৈরি করে রাখতেছি। বেচাকেনা শুরু হয়নি। আশা করতেছি আগামী সপ্তাহে পুরোদমে বেচাকেনা হবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর