১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:২৫

লঞ্চে উদ্ধার হওয়া শিশু দুটি সেই নারীরই সন্তান

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

লঞ্চে উদ্ধার হওয়া শিশু দুটি সেই নারীরই সন্তান

পটুয়াখালির রাঙ্গাবালী থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু দুটি মানসিক ভারসাম্যহীন হ্যাপি আক্তার নামের ওই নারীরই সন্তান। শুক্রবার সকালে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ।

প্রিন্সি অব আওলাদ-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মিলন মোল্লা বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে লঞ্চ থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রী ওই শিশু দুটি ও নারীর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করলে এলাকাবাসীর নজরে আসে।

গলাচিপা উপজেলার পাড় ডাকুয়া গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন আগে পাড় ডাকুয়া গ্রামের ইমাম খানের সাথে একই এলাকার হ্যাপি আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। 

গত কয়েক বছর ধরে হ্যাপি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে। বাচ্চা দুটি দাদীর কাছে থাকলেও মা হ্যাপি বাবার বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। বৃহস্পতিবার সন্তানদের নিয়ে প্রিন্সি অব আওলাদ-৭ লঞ্চে ঢাকায় আত্মীয়দের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় লঞ্চের যাত্রীরা বাচ্চাদের সাথে কথা বলা ও আচরণ দেখে তাদের সন্দেহ হয়। 

এক পর্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন হ্যাপিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি দেখে বিষয়টি হ্যাপি ও ইমামের পরিবারের লোকজন লঞ্চের সুপারভাইজারের সাথে যোগাযোগ করেন। 

শুক্রবার সকালে প্রিন্সি অব আওলাদ-৭ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট পৌঁছালে চিকনিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনসহ পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদের জিম্মায় হ্যাপি আক্তার ও তার দুই সন্তানকে উদ্ধার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হ্যাপি আক্তারের একজন জা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বাচ্চা দুটি সুস্থ আছে। আমার জা হ্যাপি ও বাচ্চাদের নিয়ে আমার ভাগ্নে গলাচিপার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ঘটনাটি না জেনে ফেসবুকে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে।’

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাটি  নজরে এসেছে। এর পরেই খবর নিলে তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছে শিশু দুটি তারই। হ্যাপি আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন। ওই নারী ও শিশু দুটি এখন নিরাপদ আছেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর