বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপকসহ চার রেল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার বগুড়ার সহকারী জজ আদালতে বগুড়ার সান্তাহার শহরের দুই ব্যবসায়ী কলিম উদ্দীন ও হাসানুন বান্না বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজাউল করিম, পাকশীর বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান ও সান্তাহার কাচারির ফিল্ড কানুনগো মো. মহসিন আলী । এ ছাড়া এ দুই মামলায় রেল কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ করে আইন বহির্ভূত কাজ করায় নওগাঁ সদর উপজেলার পাথরকুটা গ্রামের সাহেব উদ্দীনের ছেলে মো. সিরাজকেও বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদী কলিম উদ্দীন ও হাসানুন বান্নার নামে বগুড়ার সান্তাহার জংশন স্টেশনের এক নম্বর রেলগেট এলাকায় রেলভূমিতে অবস্থিত বিপণী বিতানে দুটি দোকান রয়েছে। তারা ১৯৯৬ সালে রেলওয়ে ভূসম্পদ বিভাগ থেকে বাণিজ্যিক লাইসেন্স গ্রহণ করেন। ওই বিপণী বিতানে সর্বমোট ২১টি দোকান রয়েছে।
চলতি অর্থ বছর নাগাদ বাদীদের রেলওয়ের খাজনা পরিশোধ করা থাকলেও গত ২ ডিসেম্বর কলিম উদ্দীনকে পাঁচ বর্গফুট এবং হাসানুন বান্নাকে চার বর্গফুট জায়গার অবৈধ দখলদার হিসেবে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা উচ্ছেদের চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে দোকান অপসারণ করে জায়গা সান্তাহার ফিল্ড কানুনগোর নিকট বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
বাদীরা তাঁদের অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ভূসম্পত্তি বিভাগের লোকজন ওই বিপণী বিতান এলাকায় গিয়ে দুজনকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছে। এসব কাজে তারা স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজকে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করা হয়। ওই বিপণী বিতানে শুধুমাত্র ২১টি দোকান বরাদ্দ দিয়ে লাইসেন্স প্রদান করা হলেও সম্প্রতি পাকশী ভূসম্পত্তি বিভাগ বর্ধিত অংশ সৃষ্টি করে সিরাজের নামে ৭৫ বর্গফুট জায়গার আরও একটি বর্ধিত নামের লাইসেন্স প্রদান করেন ।
১৯৯৬ সালের পর থেকে রেলওয়ের বাণিজ্যিক লাইসেন্স প্রদান বন্ধ থাকলেও নতুন নকশা সৃষ্টি করে ওই এলাকায় আরও পাঁচটি দোকানের লাইসেন্স দেয় পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা। বাদীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আগামী সাত দিনের বিবাদীদের কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর