চাঁদপুরের মতলব ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবং শহরের ব্যাংক কলোনি, কোড়ালিয়া, বকুলতলা, স্ট্যান্ড রোড, পূর্ব জাফরাবাদ, রামদাসদী, রঘুনাথপুরসহ বেশ কিছু আবাসিক এলাকায় বাখরাবাদ গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পূর্বে সমস্যা কিছুটা কম থাকলেও, গত কিছুদিন যাবৎ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
ব্যাংক কলোনির গৃহিণী শারমিন বেগম জানান, দিনের বেলায় গ্যাস পাওয়া যায় না। রাতের বেলায় কিছুটা গ্যাস পেলেও রাতেই দিনের খাবার রান্না করতে হচ্ছে। বিষয়টি গ্যাস অফিসে ফোন করে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
কয়েকজন চাকুরীজীবী নারী জানান, গ্যাস না থাকায় সকালে যথাসময়ে রান্না করতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিষয়টি বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাইনি।
এছাড়াও কোড়ালীয়া ও মুন্সী বাড়ির বাসিন্দা গৃহবধূ রহিমা বেগম ও সাথী আক্তার জানান, আমাদের আশে পাশে প্রায় সবারই লাইন গ্যাসে গ্যাস সরবরাহ সংকট রয়েছে। রাত ৯টার দিকে গ্যাস সরবরাহ অল্প পরিমান থাকলেও, ভোরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। দিনের বেলায় বেশিরভাগ সময় গ্যাস সরবরাহ থাকে না। দিনে যদি কখনো কিছুটা গ্যাস সরবরাহ থাকে, তা দিয়ে রান্নার চুলায় আগুন জ্বলে না।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গৃহিনীরা কেউ লাকড়ি চুলা ও সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করছেন। তাতে পরিবারের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন একদিকে লাকড়ি ও সিলিন্ডার কিনে ব্যবহার করছি। অপরদিকে গ্যাস না পেয়েও প্রতি মাসে লাইন গ্যাসের বিল দিচ্ছি। আবার কেউ বলছেন একবার একত্রে তিন বেলার রান্না করে থাকি। তাছাড়া রাতের বেলায় তীব্র শীতে না ঘুমিয়েই রান্না করতে হচ্ছে।
চাঁদপুর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন বিক্রয় ও বিতরণ কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মহিবুর রহমান রতন ফোনে জানান, জেলার কয়েকটি জায়গায় ও চাঁদপুর শহরের কিছু এলাকায় পিক আওয়ারে গ্যাস সরবরাহ সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে হেড অফিস ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের কাজের জন্য একটি টেন্ডার করেছে। আশা করছি আগামি ১/২ মাসের মধ্যে সেই কাজ হয়ে গেলে গ্রাহকদের এই সংকট অনেকাংশেই লাঘব হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা