উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিন যাবত চলছে শীতের দাপট। প্রতিদিনই ক্রমেই এই জেলার তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। রবিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে এ জেলায়।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, রবিবার সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এরকম তাপমাত্রা বিরাজ করায় শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন জেলার ২০ লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে ১৬টি নদ নদীর চরাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ চরম কষ্টে দিন পার করছেন।
শীত বস্ত্র এখন তাদের মারাত্মক প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম শীতার্ত মানুষের জন্য ৩৫ হাজার কম্বল বিতরণ করার পাশাপাশি আরো শীত বস্ত্র আসছে বলে জানান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে।
তিনি বলেন, চরাঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্রের আরো ব্যাপক চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, সন্ধ্যার পর থেকে রাতে শীতের দাপটের কারণে মানুষের অবস্থা জবুথবু হয়ে পড়লেও রবিবার দিনের হালকা সূর্যালোকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।
অন্যদিকে, তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশ কিছু মানুষ। গত কয়েকদিনে হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগী বাড়ছে জেলার জেনারেল হাসপাতালেও।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পরীক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা তাপমাত্রা ওঠানামার মধ্যে থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই