হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলা কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিন যাবত চলছে শীতের দাপট। প্রতিদিনই ক্রমেই এ জেলার তাপমাত্রা কমা বাড়া করছে। গত রবিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে এ জেলায়।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সোমবার সকাল ৯টায় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে কনকনে শীতের হিমেল ঠাণ্ডায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে এ জেলার সবকিছু। হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে চরাঞ্চল ও নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় হতদরিদ্র মানুষগণ। রবিবার ও সোমবার দিনের হালকা সূর্যালোকে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ঠাণ্ডার প্রকোপ কমেনি।
অন্যদিকে, তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশ কিছু মানুষ। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। গত কয়েকদিনে জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
অতিরিক্ত শীত ও ঘন কুয়াশায় সদ্য বেড়ে ওঠা আলু খেতে মারাত্মক ক্ষতির আশংকা করছেন আলু চাষে বিখ্যাত কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ী এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের রতিরাম এলাকার কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন যাবত এ জেলায় হিম পড়ছে। ফলে আমাদের আলু খেতগুলোর আগাছা কিছুটা দুর্বল হচ্ছে। তবে ওষুধ ও কীটনাশক ছিটিয়ে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কুয়াশা থাকলে মারাত্মকভাবে আলুর ফলন বিপর্যয় ঘটবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ফলন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন