নেত্রকোনায় দিগন্তজুরে চোখে পড়বে হলুদের সমারোহ। হাওরাঞ্চল নিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৫ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে এবার আবাদ হয়েছে সরিষা। কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬ হাজার হেক্টর। তবে ফলন ভালো হওয়ায় দিন দিন সরিষার কদর বাড়ছে জেলায়। জেলার মদন কলমাকন্দা ও মোহনঞ্জে হলেও কেন্দুয়া, পূর্বধলা ও সদরসহ কমবেশি সব উপজেলাইে এবার সরিষার আবাদ হয়েছে। যা দেখে চোখ জুরায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শীত মৌসুমের পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকেই সরিসার সবুজ মাঠগুলো হলুদ রঙে সাজতে শুরু করে। ঢেউ খেলানো দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সরিষার ফুলের মৌ মৌ গন্ধ যেনো পাগল করে দেয়। আর সে গন্ধে মৌমাছির গুঞ্জন এক আবহ তেরী হয়। সব মিলিয়ে প্রকৃতি সেজেছে তার নিজস্ব আলোয়। নানা প্রজাতির পাখির কলরব, ফসলের মাঠে কাজের ফাঁকে মনের আনন্দে কৃষকের ভাটিয়ালী গান আজকাল বেশি না হলেও একেবারে কম নয়।
দূরন্ত শিশুদের ছোটাছুটি, দৌঁড়ঝাপ আর ঘোমটা টানা লজ্জাবতী কৃষাণীদের আনাগোনায় নয়নজুরানো মাতাল করা মধুময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। যে কেউ মুগ্ধ হয়ে ছবি তুলে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কৃষকরা আশানুরূপ ফসল ফলাতে পারেননি। কিন্তু চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলল হয়েছে। অন্যান্য ফসল ফলাতে সাধারণত খরচ বেশী হয়ে থাকে। কিন্তু তুলনামূলক সরিষার উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং বাজার মূল্য ভাল হবার কারণে কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষের প্রতি অধিক আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
উপ সহকারী কৃষি অফিসার বিদুৎ মজুমদার জানান, উচ্চফলনশীল জাত হওয়ায় সরিষার ফলন এবার ভালো হয়েছে। বারি সরিষা ১৪ জাতের আবাদ প্রায় ৭০ ভাগ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল