মাগুরার চাঞ্চল্যকর পেট্রোল বোমা হামলায় ৫ শ্রমিক নিহতের ঘটনার মামলার বাদীর জবানবন্দীর মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইসলামের আদালতে মামলার বাদী পুলিশের উপ সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল সালাম হাজির হয়ে জবানবন্দী দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার এ্যাডভোকেট কাজী এস্কেন্দার আজম বাবলু জানান, ‘আজ বুধবার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত দিনে মামলার বাদী এএসআই আব্দুল সালাম আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। এ সময় আসামীপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। এটির মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো। আগামী ১০ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বিএনপি জামায়াতসহ ২০ দলের অবরোধ চলাকালে গত ২০১৫ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় মাগুরা-যশোর সড়কের মঘির ঢালে ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলা করে আসামিরা। এ সময় ট্রাকের চালক, হেলপারসহ ৯ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়। মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ওই রাতেই রওশন নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ট্রাক চালক ইমরান, শ্রমিক মতিন, শাহিন, শাকিল নামে ৪ জন মারা যায়।
এ ঘটনায় পর দিন ২২ মার্চ মাগুরা সদর থানার উপ সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল সালাম বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে।
মামলার বিষয়ে এ্যাডভোকেট কাজী এস্কেন্দার আজম বাবলু জানান, এ মামলায় চার্জভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন মাগুরা জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ, জেলা জামায়াতের আমীর আলমগীর হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হক, চার্জভুক্ত জেলা বিএনপি’র সাবেক সহসভাপতি মনোয়ার হেসেন খান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুস্তারাশেদ বাকের, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও সদর জামায়াতের আমির অধ্যাপক ফারুক হোসেন, মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, মাগুরার সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা কিজিল খান, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক অ্যাড. মিজানুর রহমান, ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন, আবু তাহের সবুজ, জালাল মোল্যা, মাহাবুব হোসেন মাহাবুব, আল আমীন, জাকারিয়া হোসেন, বাদশা মিয়া, বাশি মিয়া, মো. এরশাদ, এ্যাডভোকেট অহিদুর রহমান সজল ও মো. হিট্টু বিশ্বাস। চার্জশিটে থাকা ২৩ জনের মধ্যে রাসেল নামে একজনের বিচার কার্যক্রম শিশু আইনের আওতায় শিশু আদালতে চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা