রংপুরের পীরগাছায় জেএমবি অধ্যুষিত এলাকা বলে আলোচিত ইটাকুমারীর পশুয়া টাঙ্গাইল খাঁ পাড়ায় মসজিদের নামকরণ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনকে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পীরগাছা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের জেএমবি অধুষ্যিত এলাকা বলে আলোচিত গ্রাম পশুয়া টাঙ্গাইল খাঁ পাড়া জামে মসজিদটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ মসজিদটি পশুয়া টাঙ্গাইল খাঁ পাড়ায় অবস্থিত। এতে পীরগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী টাঙ্গাইল খাঁ পাড়া ও কাউনিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী পূর্ব গোড়াই পাড়ার লোকজন নামাজ আদায় করে আসছিলো। দুটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে থেকে সভাপতি ও সম্পাদক করে মসজিদ পরিচালনা করা হয়। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পূর্ব গোড়াই পাড়ার আবুল কালাম পূর্ব গোড়াই পশুয়া জামে মসজিদ নামকরণ করে একটি সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন। পরে খাঁ পাড়ার লোকজন তা খুলে ফেলে। জুম্মার নামাজের পর এ নিয়ে দু’গ্রামের মুসল্লিদের মাঝে তর্কবির্তক হওয়ার পর সবাই বাড়ি চলে যায়। এর পরে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের নেতৃত্বে একদল মুসল্লি লাঠিসোঠা নিয়ে খাঁ পাড়ার সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, সেলিম মিয়া, শাহনাজ বেগম, রাশেদা বেগমকে বেদম মারপিট করে। এসময় আবির নামে তিন বছরের এক শিশুকেও আছাড় মেরে পেটের উপর পা তুলে দেয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। ঘটনার পর আহত ৬ জনের মধ্যে ৩ জনকে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন খাঁ বলেন, মসজিদটি খাঁ পাড়ায় অবস্থিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে খাঁ পাড়া মসজিদ নামে চলে আসছিলো। হঠাৎ করে নাম পরিবর্তন করে পূর্ব গোড়াই পশুয়া জামে মসজিদ নামকরণের সাইন বোর্ড লাগানো হলে এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল