উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফরে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চরাঞ্চলসহ তীরবর্তী এলাকার প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শনিবার রাত থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার ভোর ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। পানি বৃদ্ধির কারণে ব্যারাজের ভাটি এলাকা গঙ্গাচড়ার প্রায় ২০টি চরের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
জানা গেছে, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, চর মটুকপুর, বিনবিনা এলাকার এক হাজার ১৩০০ ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চর ইচলী, এলাকায় ১০০০ এবং মর্নেয়া ইউনিয়নে ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠায় বিনবিনা এলাকায় কিছু লোক গবাদিপশু, বাড়ির আসবাবপত্রসহ রাস্তায় কিংবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, তার ইউনিয়নের চিলাখাল, উত্তর চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা মাঝের চর, সাউদপাড়া ও বাবুরটারী বাঁধেরপার ও বিনবিনা এলাকায় ১ হাজার ৩০০ পরিবার এখন পানিবন্দী। লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, তার ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ১০০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, বিকেলে পানি কমতে শুরু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ