স্বামীর পরকীয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী। খবর শুনে ওই নারীর বাবাও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। রবিবার বিকেলে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরে থানায় মামলা হলে অভিযুক্ত মো. মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের খেতাছিড়া গ্রামের মো. মামুনের পরকীয়ার কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে স্ত্রী জান্নাতি আক্তার হ্যাপি (১৯) কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে। মেয়ের এমন খবর শুনে উপজেলার পূর্ব সাপলেজা ঝাটিবুনিয়া গ্রামের হ্যাপির বাবা জাকির হোসেন রাতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় হ্যাপির দাদা আব্দুল মান্নান মঠবাড়িয়া থানায় বাদী হয়ে রবিবার রাতেই মো. মামুনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর পরই পুলিশ উপজেলার খেতাছিড়া গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. মামুনকে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী আব্দুল মান্নান জানান, আমার নাতনি জান্নাতি আক্তার হ্যাপিকে পাঁচ-ছয় বছর আগে আসামি মামুনের সাথে বিয়ে দেই এবং পরে তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। বিয়ের পর থেকেই জামাই অন্য নারীদের সাথে ফোনে কথাবার্তা বলত। সে বিষয়ে আমার নাতনি গতকাল জিজ্ঞাসা করলে মামুন তাকে বলেছে ‘তোর সাথে সংসার করবো না, তুই মরলে মর যাইয়া। তুই মরলে আমি বাঁচি এবং আমি ওই নারীকে বিয়ে করব’ এমন কথা সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, পরে হ্যাপিকে আমরা উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আবার আমার ছেলে জাকির নিজ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে রাতে মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে, এমন খবর শুনে কীটনাশক খেয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনায় মামুনকে আমরা গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছি। তাকে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। মেয়ে এবং বাবার লাশ ময়নাতদন্তর জন্য পিরোজপুরে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই