বগুড়ায় বন্যার পানির তোড়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার জামথল খেয়াঘাটের সড়কটি ধসে গেছে। ধসে যাওয়া অংশে বালির বস্তা ফেলে মেরামত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সড়ক পারাপারে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। গত দুই দিনে পানি কমে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেল মিয়া জানান, স্রোতের তোড়ে ধসে যাওয়া ভাঙা অংশে বালুর বস্তা ফেলে সড়ক যোগাযোগ চালুর চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধিতে বন্যা সৃষ্টি হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর ১৭.৩৯ মিটার পানির উচ্চতা থাকলেও রবিবার বিকালে পানির উচ্চতা এসেছে ১৭. ২৫ মিটার। আর যমুনা নদীর বিপৎসীমা ১৬.৭০ মিটার। গত কয়েকদিনের অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার জামথল খেয়াঘাট সড়কের উপর নির্মিত ব্রিজের একাংশ ধসে গেছে। শনিবার দিনের বেলায় ধসে যেতে থাকে। কাজলা ইউনিয়নের জামথল গ্রামের ইজ্জত মন্ডলের বাড়ির পশ্চিম পাশের পাকা সড়কের উপর নির্মিত ব্রিজের এক অংশের গলিতে পানি প্রবেশ করে প্রথমে ভাঙ্গন দেখা দেয়। পরে পানির তোড়ে অর্ধেক ব্রিজ ধসে যায়।
সংবাদ পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ পরিদর্শন করে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ প্রদান করে। দ্রুততার সাথে সেখানে বালির বস্তা ফেলে পানির স্রোত কমিয়ে নেওয়া হয়। সড়কের ধসে যাওয়া অংশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো করা হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার জামথল খেয়াঘাট থেকে নৌ রুটে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় সরাসরি যোগাযোগ হয়ে থাকে। সম্প্রতি এই নৌরুটে সি ট্রাক চালু হওয়ার কারণে নৌরুটে সাধারণ যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলার চরের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা জানান, জামথল ফেরিঘাট থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়ন ছাড়াও বিভিন্ন চরের লোকজন প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে এই পথ দিয়ে চলাচল করে থাকে। অন্যদিকে মাদারগঞ্জ উপজেলা থেকেও লোকজন নৌ পথ পাড়ি দিয়ে এই পথে চলাচল করে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর