শিরোনাম
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:০২

সমুদ্রে নামতে মানতে হবে ১০ নির্দেশনা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সমুদ্রে নামতে মানতে হবে ১০ নির্দেশনা

‘সতর্কতাই নিরপত্তার পূর্বশর্ত’ এই স্লোগানে সমুদ্রের পানিতে নামার আগে করণীয় ও সতর্ককতার ব্যাপারে ১০ দিনব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন

‘সতর্কতাই নিরপত্তার পূর্বশর্ত’ এই স্লোগানে সমুদ্রের পানিতে নামার আগে করণীয় ও সতর্ককতার ব্যাপারে ১০ দিনব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এখন থেকে পর্যটকরা সমুদ্রস্নান কিংবা পানিতে নামার আগে প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশনা ও সময়সূচি মেনে সমুদ্রসৈকতে নামবেন।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ১০ দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।   

ক্যাম্পেইনে ১০ নির্দেশনা প্রচার করা হচ্ছে। 

তা হলো- 
১. সাঁতার না জানলে সমুদ্রের পানিতে নামার সময় লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে। 
২.  লাল পতাকায় চিহ্নিত করা পয়েন্টে কোনোভাবে নামা যাবে না। 
৩.  সৈকত এলাকায় সবসময় লাইফগার্ডের নির্দেশনা মানতে হবে। 
৪. বিকাল ৫টার পর সমুদ্রে নামা যাবে না। 
৬. সমুদ্রে নামার আগে জোয়ার-ভাটাসহ আবাহাওয়ার বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে হবে। 
৭. লাইফগার্ড নির্দেশিত নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্যকোনো পয়েন্ট থেকে সমুদ্রে নামা যাবে না। 
৮. সমুদ্রে যেকোনো মুহূর্তে তীব্র স্রোত এবং গর্ত সৃষ্টির বিষয়ে জানতে হবে। 
৯. যেকোনো ভাসমান বস্তু নিয়ে পানিতে নামার আগে বাতাসের গতি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। 
১০. শিশুকে সৈকতে সব সময় সঙ্গে রাখতে হবে এবং তাকে একা সমু্দ্রে নামতে দেওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে অসুস্থ অথবা দুর্বল শরীর নিয়ে সমুদ্রে হাটু পানির বেশি নামা যাবে না।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এই ১০ দিনব্যাপী আমরা এসব সতর্কতা বার্তা প্রচার করতে চাই। পর্যটক যারা আসবেন তাদের তো জানা নেই যে এখানে লাইফগার্ড আছে, এখানে সিকিউরিটির ব্যবস্থা আছে। কোন চিহ্ন দিয়ে কি অর্থ প্রকাশ পায়, লাল পতাকার অর্থ কী ইত্যাদি। আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা কক্সবাজার সমদু্রসৈকতে বেড়াতে আসেন তারা অনেক সময় সিগন্যালগুলো খেয়াল করতে পারেন না। যারা বিচকর্মী তারা সার্বকানিক সজাগ রয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আজ থেকে শুরু করে আগামী ১০ দিন পর্যন্ত কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী বিশেষ করে এই তিনটা পয়েন্টে এরকম প্রচার অভিযান চালাব। পর্যটকরা এখানে বেড়াতে আসবেন। তাদের কাছে আমাদের বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ থাকবে তারা যেন এই প্রচার অভিযানমূলক কার্যক্রমগুলোয় একটু সহযোগিতা করেন। তাদের মূল্যবান সময় একটু করে আমাদের কথাগুলো শুনেন। আমাদের যারা ট্রেইনার হিসেবে কাজ করবেন, তাদের কথাগুলো একটু শুনেন এবং তাদের সহযোগিতা করেন।

এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল, নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়ের হাবিবসহ পর্যটক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর