পর্যটকদের আগমনে এখন মুখরিত কুয়াকাটার সৈকত। তবে কক্সবাজারের ঘটনায় তেমন কোনো বিরুপ প্রভাব পড়েনি কুয়াকাটায়। সরকারি দুই দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে সৈকতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট, মহিপুর থানা পুলিশ দর্শনীয় জোনগুলোতে টহল অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয়রা জানান, পুরো সৈকত পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মতো। পর্যটকদের সমাগমকে ঘিরে কিছু হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের অসহায়ত্ব পুঁজি করে মাত্রাতিরিক্ত হোটেল রুম ভাড়াসহ খাবারের দাম আদায় করছে এমন অভিযোগও রয়েছে। অধিকাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটক নাসরিন বলেন, এখানকার সবকিছুই আমাকে বিমোহিত করেছে। তবে মনে হয়েছে হোটেলের ভাড়াটা একটু বেশি নিয়েছে। আর খাবারের গুণগত মান নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। পর্যটক মৌসুমী আক্তার বলেন, গত দু’দিন আগে এখানে এসেছি। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেছি। খুবই ভাল লেগেছে। তবে দর্শনীয় স্থানে যাতায়াতের সড়কগুলো বেহাল দশা। এগুলো দ্রুত সংস্কার ও মেরামত করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন তিনি।
কুয়াকাটা সী-ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস’র ব্যবস্থাপক মো. হেসাইন আমির বলেন, পায়রা সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি আগত পর্যটকদের সেবা দিতে। তবে কক্সবাজারের ঘটনায় কোনো প্রভাব পড়েনি কুয়াকাটায়।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, আগত সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি টিম দর্শনীয় স্থানগুলোতে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই