যমুনা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হচ্ছে। ঢেউয়ের আঘাতে এবং বন্যার পানিতে বসতভিটার নিম্নাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ফসলগুলো ক্ষেতে নুইয়ে পড়ে আছে।
ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য দেখে বন্যাকবলিতদের মাথায় হাত। কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নিবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বন্যাকবলিতরা।
চলতি বছর বন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। টিআর কাবিখা-কাবিটা নির্মিত বহু কাঁচা রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার কারণে তাঁতের সুতা ও তার উপকরণ নষ্ট হয়েছে। এতে তাঁতীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় নদী ভাঙনে প্রায় চার শতাধিক বসতভিটা সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ঘাস ক্ষেত নষ্ট হয়ে হওয়ায় গো-খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে। বন্যার পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতভিটা এখনো পানির নিচে রয়েছে। বন্যাকবলিত ৫টি উপজেলায় মাত্র ১৪১ মেট্টিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আর শিশু ও গো-খাদ্যের জন্য নগদ ২০ লক্ষাধিক টাকা বিতরণ করা হবে।জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, বন্যার পানি সম্পূর্ণ নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে। সহায়তা পেলে তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর জানান, বন্যায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি আউশ ধান, বাদাশ, কাউন ও শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি দ্রুত কমছে। আগামী একসপ্তাহের মধ্যে পানি বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনমাস বন্যাকালীন সময়। এর মধ্যে অন্তত ৫ বার পানি কমে এবং বাড়ে। এ বছর দু'বার পানি বাড়ছে এবং কমেছে। হয়তো সামনে পানি বাড়তে পারে। তবে এখনো পানি বাড়ার কোনো পূর্বাভাস আমাদের কাছে নেই।
তিনি জানান, এ বছর বন্যায় তীর সংরক্ষণ বাঁধের উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/বিএইচ