২৭ জুন, ২০২২ ১৬:৫৭

কুড়িগ্রামে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি দ্রুত কমে এখন বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু এখনো অনেক এলাকায় বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি থেকে পানি সরে যায়নি। ফলে এসব বাড়িতে বাস করতে বন্যার্তদের দুর্ভোগ কমছে না। আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু বাধ থেকে এখনো ফিরতে পারেনি অনেকেই।দুই সপ্তাহের বন্যায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। 

খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকট প্রকট হয়েছে। এখনও নদ-নদীর চরের নিম্নাঞ্চলের রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার কয়েক শতাধিক কৃষক ও মৎসচাষী। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বন্যায় পানিতে আমন বীজতলা, পাট, আউশ ধান, কাউন, চিনাসহ নানা ফসলি জমি প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর ডুবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে এখানকার কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। সদর উপজেলার পাঁচগাছী এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, এক বিঘা জমিতে পটল, ঝিঙে, শশাসহ বিভিন্ন সবজি লাগাইছিলাম। এবারের  বন্যায় সব শেষ। দুই সপ্তাহ ধরে পানিতে ডুবে থাকায় পঁচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে। পানি কমলেও এখন আর লাভ নেই। আমরা কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা চাই। অপরদিকে, ভোগডাঙার মৎস চাষী সাইফুল ইসলাম জানান, এক রাতে পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে বের হয়ে গেছে। পরে জাল দিয়ে কিছু আটকানোর চেষ্টা করেছি। 

জেলা মৎস বিভাগ জানায়, চলতি বন্যায় ১৩৪ হেক্টর পুকুর ও দিঘি, ১৬৭ টন মাছ ও ৬ মে. টন পোনা মাছ ভেসে গেছে। এদিকে, গত কয়েক দিনে নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় তিস্তা ও ধরলায় শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। 

জেলার ৯ উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক গ্রামের ২ লক্ষাধিক পানিবন্দী মানুষের পানি কমতে থাকায় নিজ ঘরে এখন ফেরার পালা। কেউ ত্রাণ না পাওয়া আবার একবার সামান্য ত্রাণ পেয়ে কষ্টে থাকার অভিযোগ অনেক বানভাসীর।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর