সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সংশোধন, মহাসড়কে অবৈধযান বন্ধ ও জ্বালানি তেল এবং যন্ত্রাংশের অস্বাভাবিক মূল্য হ্রাসসহ ১০ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জয়পুরহাটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটচলছে। আজ শুক্রবার জয়পুরহাটে থেকে কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। বাইরের কোনো বাসও জয়পুরহাটে আসেনি। ঢাকাগামী কোচগুলোও সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। বাস বন্ধ থাকায় সকাল থেকে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতকালের মতো আজও বন্ধ রয়েছে সকল পরিবহন। এতে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা অটোরিকশা বা ছোট বাহনে মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছেন। এ জন্য তাদের বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া চাপ বেড়েছে ট্রেনে। সিএনজি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন বিকল্প যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা জরুরি প্রয়োজনে নিজ গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন।
আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসার কাজে ঢাকা থেকে জয়পুরহাট এসেছিলেন। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে এখন ঢাকা যেতে পারছেন না। আবাসিক হোটেলে থাকতে হচ্ছে তাকে।সজিব নামে আরেক যাত্রী বলেন, জয়পুরহাট শহরের বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস নাই। জরুরি কাজ বগুড়া যেতেই হবে। বাধ্য হয়ে ১২০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা দিয়ে বগুড়ায় যেতে হবে। সময় ও টাকা দুটোই বেশি লাগছে। আবার বাড়ি যেতেও ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হানিফ বলেন, প্রতিদিন কাজ করলে আমরা ৫০০-৬০০ টাকা মজুরি পাই। হঠাৎ করে সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ। কয়দিন বন্ধ থাকবে জানি না। তবে বাস বন্ধ থাকলে আমাদের মতো দিনমজুরিদের পরিবার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক পরিষদ সাংগঠনিক কমিটির কার্যকরী সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটির মতো অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ