ধনবাড়ী উপজেলায় ট্রে-পদ্ধতিতে (প্লাস্টিকের ফ্রেমে) বোরো ধানের চারা তৈরি করা হয়েছে। উপজেলার সমতকুড় ও নরিল্ল্যা গ্রামে ফসলের মাঠে এ পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের চারা তৈরি করা হয়। এ বীজতলার আধুনিক পদ্ধতির নাম ‘সমলয়’। বীজ বপনের ২০-২৫ দিনের মধ্যে চারা রোপণ করা যায়। চাষিরা লাভবান হবে বলে আশা করেছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, এখন উচ্চফলনশীল বীজ ও ধান উৎপাদনে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করছে কৃষিবিজ্ঞানীরা, যার নাম ‘সমলয়’ পদ্ধতি। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে লাগানো হবে ধানের চারা। একটি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার প্রতি ঘন্টায় এক একরের বেশি জমিতে চারা লাগাতে পারে। যা অল্প সময়ে স্বতেজ চারা লাগানো যায়। ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যবহার হবে কম্বাইন হার্ভেস্টার। কম খরচে চাষিরা ধান ঘরে তুলতে পারবে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের ফলে সময় বেচে যাচ্ছে, অন্যদিকে অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে চাষিদের।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হবে বোরো ধান। ট্রে-পদ্ধতিতে ৮০শতক জমিতে বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। উপজেলার ১৫০জন উপকারভোগী চাষি একশত একর জমিতে ট্রে-পদ্ধতির হাইব্রিড জাতের চারা রোপন করবে। যার আয়ূকাল ১৪৫ দিন।
শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বোরো ধানের চারা লাগাতে পুরোদমে জমি তৈরীতে কাজ করছেন চাষিরা। আবার অনেকে চারা রোপন করতে শুরু করেছে। বেশির ভাগ জমিতে উচ্চফলশীল জাতের চারা রোপন করা হচ্ছে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ চাষি ও শ্রমিকরা। শ্রমিকের মজুরি বাড়তি থাকায় অনেক চাষি হিমসীম খাচ্ছে।
নরিল্ল্যা গ্রামের উপকারভোগী কৃষক ইমাম হোসেন বলেন, ‘সমলয়’ একটি আধুনিক পদ্ধতি। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে এবার বোরো ধান আবাদ করবো। এতে করে অর্থ ও সময় বাচবে।’
এ পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষকেরা আরও লাভবান হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রচালিত পদ্ধতিতে ধান চাষিরা লাভবান হতো না। কৃষিতে বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগে চাষিরা লাভবান হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করছে তারা।’
বিডি প্রতিদিন/এএম