ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদক ব্যবসা ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচা আশরাফুল ইসলামের ছুরিকাঘাতে ভাতিজা মো. নিয়ামুল ইসলাম (২৫) নিহত হন। গত বুধবার বিকালে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত চাচা আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী রত্না বেগমকে (২৫) গ্রেফতার করেছে।
নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ গ্রেফতারকৃতদেরকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর আদালতে সোপর্দ করলে আসামি আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসা করতো। মাদক ব্যবসা ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকাল চারটার দিকে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নেয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করে আশরাফুল।আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহত নিয়ামুলের মা ইয়াছমিন বেগম বাদী হয়ে আশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রত্না বেগমকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আশরাফুলের স্ত্রী রত্না বেগমকেও গ্রেফতার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ বলেন, আশরাফুল ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আশরাফুল নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করলে হাসপাতালে নেওয়ার পর নিয়ামুল মারা যায়। এ ঘটনায় নিয়ামুলের মা বাদী হয়ে থানায় আশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রত্না বেগমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা আশরাফুল ইসলাম ও রত্না বেগমকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছি। আশরাফুল ইসলাম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল