পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। এরমধ্যে ঘটনাস্থলে ২ জন ঘটনাস্থলে, একজন পিরোজপুর সদর হাসপাতালে এবং ২ জন খুলনা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রা এলাকার আল-আমিন মল্লিকের পুত্র শাহিন মল্লিক (১৮), বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চোমরা এলাকার আবুল হোসেন মিনার পুত্র ইয়াসিন মিনা (২২), বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকার বাসিন্দা মো. বাদশা (১৭), শাহিন মোল্লা ও সাব্বির। এদের মধ্যে শাহিন মোল্লা ও সাব্বির খুলনায় মারা যায়।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে সদর উপজেলার শংকরপাশা এলাকার পিরোজপুর-ভান্ডারিয়া সড়ক দিয়ে নসিমনে করে একদল যুবক ভান্ডারিয়া যাচ্ছিল। এসময় নসিমনটি বিকল হলে নসিমনে থাকা যাত্রীরা রাস্তায় পরে যায়। তখন বিপরিত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী একটি পরিবহন বাস রাস্তায় পরে থাকা যাত্রীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হয় এবং ৭ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে একজন মারা যায়। আহতদের পিরোজপুর সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ও বরিশাল প্রেরন করা হয়েছে। খুলনা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ২ জন। ঘাতক বাসটি আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সিরাজুল ইসলাম শিমলু জানান, বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে একটি বিয়ে বাড়িতে ক্যাটারিং সার্ভিস (খাবার পরিবেশন) করার জন্য তারা নসিমন-টমটম গাড়িতে করে ১৮ জন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া এলাকায় যাচ্ছিলো। তাদের বহন করা নসিমন-টমটম গাড়িটি পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা এলাকায় এলে ডান পাশের চাকাটি ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বিপরীত দিক দিয়ে আসা একটি বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে করে ঘটনাস্থলে দুই জন মারা যায় এবং হাসপাতালে নিয়ে আসলে আরেকজন মারা যায়। এছাড়া গুরুতর আহত কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসতাপালে পাঠানো হয়।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজন হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের মধ্যে একজন মারা যায় এবং গুরুতর আহত দুই জনকে উন্নত চিকিৎসান জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ. জা. মো: মাসুদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় শিকার টমটম ও বাস আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
