বগুড়ায় চলছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকছে উত্তপ্ত আবহাওয়া। জেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নারী, পুরুষসহ সকল বয়সিরা নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। টিন শেডের ঘর থেকে কংক্রিটের দালান ঘর সবখানেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি থাকছে। রোদের তীব্রতার মধ্যেই ঈদের কেনাকেটা, সাধারণ মানুষের খেটে খাওয়াসহ অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে গরমে অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে লোডশেডিং শুরু হওয়ায় তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ট। তীব্র দাবদাহ প্রভাবিত হলেও এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, বগুড়ায় বুধবার ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর তাপমাত্রা বয়ে যায়।
জানা যায়, বগুড়ায় প্রচন্ড রোদ আর গরমে মানুষ হাসফাস করছে। লোডশেডিং থাকায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা প্রচন্ড গরমের কারনে দুর্ভোগে পড়ছেন। বগুড়ায় ঈদের কেনাকেটা করতে দিনের বেলায় লোকজন কম দেখা যাচ্ছে। ইফতারের পর লোকজন কেনাকেটা করছেন। বৈশাখ মাসের শুরুতে এমন গরমে অনেক মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ মাসে রোদের সঙ্গে বৃষ্টি হলেও এবছর শুরুতে শুধু তাপ প্রবাহ হয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড তাপের কারণে বাড়ি ঘরের টিনের চালা ও ছাদ গরম হয়ে থাকছে। যে কারণে বাসা বাড়িতে থাকাও দায় হয়ে পড়েছে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মিনিমাম তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক .০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল শতকরা ৫১ ভাগ। গত মঙ্গলবার বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মিনিমাম তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার তাপমাত্রা বেশি ছিল। একটানা তাপমাত্রা থাকায় এবং বৃষ্টির কোন পূর্বাভাস না থাকায় বগুড়া চলছে মৃদু তাপ প্রবাহ। এমন তাপপ্রবাহ থাকলে বগুড়ায় ক্ষেত খামারের ক্ষতি হবে, কৃষি জমিতে অতিরিক্ত সেচ দিতে হবে। গ্রীষ্মকালের শুরুতেই পানির স্তর নিচে নেমে যাবে। জনজীবনে অসুস্থতা বৃদ্ধি পাবে। ঘর থেকে বাহিরে এসে কাজ করে ঘরে ফিরতে প্রচুর দুর্বল হয়ে যাবে। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন আরো ৩ থেকে ৪ দিন এমন তাপপ্রবাহ থাকবে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানান, বগুড়ায় এখন মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। মঙ্গলবার ছিল মাঝারি তাপপ্রবাহ। বুধবার তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে বেশি। এই প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষকে ছায়াযুক্ত জায়গায় অবস্থান এবং ছাতা ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে আরো বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম