কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মা-ছেলের আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার আসামি বেবী আক্তারকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হারুয়া এলাকার জনৈক সাফি উদ্দিনের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এর নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও ভৈরব থানা পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার বেবী আক্তার ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর শান্তিপাড়া এলাকার ফারুক মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ আরও জানায়, ভৈরবের শম্ভুপুর শান্তিপাড়া এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়ার সঙ্গে প্রায় ছয় বছর আগে ভিকটিম জোনাকী আক্তারের (২৩) বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে আলিফ নামে তাদের তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান ছিল। ভিকটিমের স্বামী ফরহাদ বিয়ের আগে থেকেই ইতালিতে থাকেন। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। স্বামী ইতালিতে থাকাবস্থায় স্ত্রী জোনাকী ভৈরবের বাড়িতে শাশুড়ি বেবী আক্তারের সঙ্গে থাকতেন। কিন্তু বেবী আক্তার ভিকটিমকে সঠিকভাবে ভরণপোষণ দিতেন না। বরং বিভিন্ন সময় তার স্বামীর কাছে আজেবাজে কথা বলাসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন বেবি আক্তার।এরই এক পর্যায়ে গত ১৪ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে বেবী আক্তার পুত্রবধূ জোনাকীকে গালিগালাজ ও মারধর করেন এবং গলায় ফাঁস দিয়ে মরে গিয়ে তাদের রাস্তা পরিষ্কার করে দিতে বলেন। শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরদিন (১৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বেলা পৌনে ১১ টার মধ্যে কোন এক সময় বসতঘরে ছেলে আলিফকে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেও ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে জোনাকীর বাবা বাদী হয়ে শাশুড়ি বেবী আক্তার, জোনাকীর স্বামী ফরহাদ মিয়াসহ পাঁচজনকে আসামি করে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম