বাগেরহাটে কাঁচা মরিচের ঝাঁজে নাজেহাল ক্রেতারা। জেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ টাকা করে। জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। গত সপ্তাহেও এই কাঁচা মরিচ বিক্রয় হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। ঈদকে সামনে রেখে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও সিন্ডিকেট করে এবার দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তবে, খুচরা বিক্রেতারা বলছেন আৎদার ও পাইকারদের কাছ থেকে তারা চড়া দামেই কাঁচা মরিচ কেনার কারণে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট শহরের প্রধান কাঁচা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ৪০০ টাকা করে। এই কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে বিক্রয় হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের আমদানি কমে যাওয়ায় পাইকারি আড়ৎ থেকে তারা প্রতি কেজি ৩৭০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনে ৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
বাগেরহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মোসলেম উদ্দিন জানান, বৃষ্টির সময় কাঁচা মরিচ দ্র্রুত পঁচে যায়। এক মণ মরিচ কিনলে ১ থেকে ২ কেজি এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য এই সময়ে দামও বেড়ে যায়।খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. ইকবাল হোসেন জানান, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ পর্যাপ্ত আমদানি থাকলেও কেজি প্রতি ৩৭০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে। পাইকাররা বলছেন, বৃষ্টির কারণে অনেক মরিচ ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে। সে কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা গৃহিনী আলেয়া বেগম, চা দোকানী হৃদয় দাস বলেন, মরিচ কেন সবকিছুর দামই বিক্রেতদের মর্জিমতো ওঠানামা করে। এখন সব কিছুই সিন্ডিকেট করে রাতারাতি দাম দ্বিগুণ করা হয়। ১৪০ থেকে ১৬০ টাকার মরিচ রাতারাতি ৪০০ টাকা হয়ে যায়। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খেতে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ