মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক সড়কের ব্যবসায়ীরা দোকানের নিরাপত্তায় ব্যবহার করছেন ১০টি থেকে ৪০টি তালা। এতো তালা ব্যবহারের পরেও অনেকে নিরাপদ বোধ করছেন না। তাই কেও কেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছেন। এছাড়া নৈশপ্রহরীতো আছেই। এরপরও ব্যবসায়ীরা বলেন, তালাই আমাদের একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই সড়কের বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত তালা ব্যবহার করা হয়েছে। অন্য কোথাও দোকানে এতো তালার ব্যবহার দেখা যায় না। নিউ রাজ্জাক ব্যাটারির পরিচালক আশিক খান জানান, আগে চারটি তালা লাগানো হতো। গত চার বছর আগে দোকানের সাটার কেটে ১৭ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন কৌশলে ৩০টি তালা লাগানো হয়। এরপর আর কোনও চুরি হয়নি।
মেসার্স নওশাদ ব্যাটারি হাউজের সত্ত্বাধীকারী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, গতবছর প্রায় সাড়ে এগার লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। এরপর বিভিন্ন কৌশলে দোকানে ৪০টি তালা লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। তাছাড়া সিসি ক্যামেরা ও গার্ড রয়েছে। এখন আর চুড়ি হয়না।এছাড়া শাপলা ইলেকট্রিকসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও দশ থেকে ২০টি পর্যন্ত তালা ব্যবহার করে দোকানের চুরিরোধে মোটামুটি নিশ্চয়তা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ