ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব মোকাবিলায় ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম। পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় ঝালকাঠিতে ৫৯টি সাইক্লোন শেল্টার, ৭টি কন্ট্রোল রুম, ৩৭টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৩টি উদ্ধারকারী দল, ৩ লাখ ২৩ হাজার নগদ টাকা, ৩৫০ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। জেলার সকল রুটে লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরি খাবার বরাদ্দ পেয়েছে জিআর ৫০ মেট্রিক টন, ২০ লক্ষ নগদ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য নগদ ১০ লক্ষ টাকা, শিশু খাদ্য ১০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও জেলা পুলিশ, ঝালকাঠি পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল সার্জন অফিসসহ বেশ কয়েকটি দপ্তর তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে। তবে কী পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে তা জানা যায়নি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ঝালকাঠিতে সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। কখনো হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলা তথ্য অফিস থেকে মাইকিং করে নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদে থাকার জন্য শতর্ক করা হচ্ছে। বৃষ্টি এবং বৈরী আবহাওয়ায় শ্রমজীবী এবং নদী তীরের বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সাত নম্বর বিপদ সংকেতের খবর শুনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কেউ আবার আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। নদীর পানিতে বসতঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। ঘর-বাড়ি ও মালামাল ফেলে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন কেউ আবার। ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘের রক্ষায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন জেলার বাসিন্দারা।এদিকে, সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। জেলার চার উপজেলায় রোপা আমন নতুন করে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে কৃষকরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই