রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জে ভারতীয় ভিসা সেন্টার। এই ভিসা সেন্টার থেকে প্রতিদিন আড়াই’শ থেকে তিনশ জনের বেশি মানুষকে ভিসা দেয়া হত। যার অর্ধেকই ছিল চিকিৎসা ভিসা। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ভিসা সেন্টারটি বন্ধ রয়েছে।
ভিসা সেন্টার বন্ধ এবং ভিসা প্রদানে জটিলতার কারণে এই অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে পারছে না।
রংপুর নগরীর কামল কাছনা এলাকার তরুণ তরফদাদের তিন বছরের সন্তান সম্বৃদ্ধি তরফদার মৈত্রি চোখের সমস্যায় ভুগছে। ভারতের হায়দারাবাদে একটি চক্ষু হাসপাতালে প্রতি ছয়মাস অন্তর অন্তর তাকে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। তার পাসপোর্টে ভিাসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে ভিসা পাচ্ছেন না। এ কারণে চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে না পারায় মৈত্রীর পরিবার চিন্তিত।
তাঁর মত অনেকেই ভিসা বন্ধ থাকায় চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে পারেনি। জানা গেছে, রংপুর সেন্টারে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০/৩০০ জনকে ভারতে যাওয়ার ভিসা দেয়া হয়। এর মধ্যে চিকিৎসা ভিসাই ৫০ শতাংশ দেয়া হয়ে থাকে।
প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড়’শ জন চিকিৎসা ভিসা নিয়ে ভারতের কলকাতা, দিল্লী, চেন্নাই, ভেলর ইত্যাদি এলাকায় যেতেন। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের তথ্য মতে প্রতিমাসে কম পক্ষে ৬ হাজার মানুষ রংপুর ভিসা সেন্টার থেকে ভিসা নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে যেত।
এসব রোগী লালমনিরহাটের বুড়িমারী, যশোরের বেনাপোল, দিনাজপুরের হিলি, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধাসহ বিভিন্নস্থল বন্দর দিয়ে ভারতে গমন করতো। কিন্তু ভিসা সেন্টার বন্ধ থাকায় কেউ নতুন করে ভিসার আবেদন করতে পারছে না। ফলে নতুন এবং পুরাতন কোন রোগীই চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পারছেন না।
মাহাবুব আইটি সেন্টারের মালিক মাহাবুব হোসেন, জনি সোমানী, রামচন্দ্র ঘোষ জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে ভিসা সেন্টার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মাহিগঞ্জে ৪৮ টি ভিসা প্রসেসিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। রংপুর থেকে ভিসা সেন্টার চালুর পর ভিসা পাওয়ার অর্ধেক মানুষই চিকিৎসা করাতে যেত। ভিসা দেয়া বন্ধ থাকায় রংপুর অঞ্চলের দুই মাসে কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা নিতে ভারতে যেতে পারছেন।
তবে ভিসা সেন্টারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ৫ আগস্টের আগে যাদের পাসপোর্ট এসেছে তাদের পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে। নতুন করে রংপুর থেকে ভিসা দেয়া হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/আশিক