ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মশিউর রহমান শান্ত (৪০) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক শারমিন জাহান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মশিউর রহমান শান্তকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাদণ্ড দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মশিউর রহমান শান্ত আখাউড়া পৌরশহরে মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল করিমের ছেলে ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী প্রবাসে থাকায় শান্ত বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় শান্ত তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে ভিডিও কলে কথা বলাতে বাধ্য করে। পরে শান্ত বেপরোয়া হয়ে ওই ভিডিও কলের স্ক্রিনশট ধারণ করে তা ডিজিটাল কারসাজির মাধ্যমে পর্নোগ্রাফিতে রূপান্তর করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মশিউর রহমান শান্তকে আসামি করে ২০২২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় রাতেই মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে আখাউড়া থানা পুলিশ।