বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় মহিমা বেগম (২৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রতিয়া রাজাপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ির পুকুরে পড়েছিল ওই গৃহবধূ। সেখান থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত মহিমা ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইসরাফিল পহলানের স্ত্রী। এবং একই ইউনিয়নের শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে। তার ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
নিহতের মা মিনারা বেগম জানান, জামাই সৌদি থাকায় নাতিকে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন তার মেয়ে। শশুর ও শাশুড়ী প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করতো। তারা মেরে তার মেয়েকে পুকুরে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শশুর রুহুল পহলান জানান, তার পুত্রবধূ ভোররাতে প্রকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যেতে পারে বলে ধারণা তাদের। পুকুরে পড়েই তার মৃত্যু হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশফাক হোসেন জানান, সকাল ৯টার দিকে দিকে মহিমা বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।
শরণখোলা থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে নিহতের বাবার পরিবারের অভিযোগ থাকায় মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম