শ্রদ্ধা, গান, কবিতা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে মোংলার মিঠাখালীতে শুক্রবার পালিত হলো একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। সকাল ৯টায় রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংসদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়ে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তার বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
সকাল ১০টায় রুদ্রের বাড়িতে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও কবির অনুজ সুমেল সারাফাত। এতে আরও বক্তব্য দেন মোংলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূর আলম, চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন, রামপাল সরকারি কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম এবং রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান টিটো। আলোচনা শেষে কবির গড়া সংগঠন ‘অন্তর বাজাও’ রুদ্রের গান পরিবেশন করে।
উল্লেখ্য, মাত্র ৩৫ বছরের জীবনকালে রুদ্র রচনা করেন সাতটি কাব্যগ্রন্থ—‘উপদ্রুত উপকূল’ (১৯৭৯), ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ (১৯৮১), ‘মানুষের মানচিত্র’ (১৯৮৪), ‘ছোবল’ (১৯৮৭), ‘গল্প’ (১৯৮৭), ‘দিয়েছিলে সকল আকাশ’ (১৯৮৮) ও ‘মৌলিক মুখোশ’ (১৯৯০)। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে ‘বিষ বৃক্ষের বীজ’ নামে একটি কাব্যনাট্যও রচনা করেন।
তার লেখা ও সুরারোপিত কালজয়ী গান ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয়। গানটির জন্য ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির শ্রেষ্ঠ গীতিকার (মরণোত্তর) পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক