ফেসবুকে গোপন ভিডিও ছাড়ার ভয় দেখিয়ে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে রায়হান মিয়া (২০) ও শাকিল আহমেদ মিম (২৫) নামে দুই বন্ধুমিলে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে রায়হান মিয়া ওই স্কুলছাত্রীর গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
রবিবার (২৯ জুন) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে। দামোদরপুর ইউনিয়নের মধ্যভাঙ্গা মোড় (জুগীপাড়া) গ্রামের নানাবাড়ি থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অস্টম শ্রেণিতে অধ্যায়ন করছে ওই ছাত্রী।
ধর্ষক রায়হান মিয়া মধ্যভাঙ্গা মোড় (জুগীপাড়া) গ্রামের মিলন প্রামানিকের ছেলে ও শাকিল আহমেদ মিম কান্তনগরের সাজু মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেল রমজান মাসে কোন একদিন ছাত্রীটি তার নানাবাড়িতে টিউবওয়েলে গোসল করার সময় রায়হান মিয়া তার মোবাইল ফোনে গোপনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও মেয়েটিকে দেখায়। এসময় এই ভিডিও মোবাইল ফোন থেকে ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করে মেয়েটি। একপর্যায়ে ডিলিট করার আশ্বাস দিয়ে গত ১৫ এপ্রিল রাতে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রায়হান রহমান। একাই আশ্বাসে ১৯ এপ্রিল আবারও ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে জানালে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায় রায়হান। এরপর ওই অশ্লীল ভিডিওটি রায়হান তার বন্ধু শাকিলকে সরবরাহ করে। পরে ২৪ জুন বিকালের দিকে শাকিল ওই ভিডিও ডিলেট করার আশ্বাসে ছাত্রীকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে কান্না করলে স্বজনরা কান্নার কারন জানতে চাইলে রায়হান ও শাকিলের সকল ঘটনা প্রকাশ করে। পরে ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, দুই যুবক মিলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম