হাতের মেহেদীর রং না মুছতেই বিয়ের ৯ দিন পর বরকে পাশের ঘরে রেখে সুমনা আক্তার নামে নববধূর আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা ইউনিয়নের চৌধুরী গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সুমনা আক্তার (২০) ঘোড়াঘাটের পালশা ইউপির চাটশাল সোনারপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার মেয়ে। ছোটবেলা থেকে তিনি তার নানাবাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। গত ১৮ আগস্ট সুমনার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চৌরিয়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের বিয়ে হয়। বর আব্দুস সোবহান পেশায় একজন কৃষক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমনার আক্তারের বাবা-মা দু'জনে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি তার নানা-নানীর নিকট থাকতেন। গত ১৮ আগস্ট সুমনা আক্তারের সাথে পাশের চৌরিয়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমনা আক্তার স্বামীর বাড়িতেই ছিলেন। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিয়ের ৯ দিন পর নানার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন। রাতে যখন সবাই টিভি দেখছিলেন, তখন সুমনা আক্তার সকলের অজান্তে পাশের ঘরে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন রাত সাড়ে ১২টার দিকেপুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে নানা মোজাফফর হোসেন পাশের গ্রামের আব্দুস সোবহানের সাথে তার নাতনি সুমনাকে বিয়ে দেন। মেয়ে নানার বাড়ি বেড়াতে এসে এ ঘটনা ঘটায়। তিনি আরও জানান, সুমনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ইতিপূর্বে এক মামাতো ভাইয়ের সাথে সুমনার বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। অন্যদিকে আব্দুস সুবহানেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তিন মাস পূর্ব আব্দুস সোবহানেরও প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাঁদের নতুন বিবাহিত জীবন। আসলে কেন আত্মহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছি না।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে তদন্ত চলমান আছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ