সংগীতশিল্পী রেশমী মির্জা। তার ব্যান্ডের নাম ‘রেশমী ও মাটি’। এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার বেশকিছু গান। গান ও সামসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার আলাপন—
গানের জগতে পদার্পণ কীভাবে?
আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা খুলনায়। পারিবারিক গানের আবহে বেড়ে উঠা আমার। বাবা মির্জা গোলাম রসুল বীর মুক্তিযোদ্ধা। খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে দুই যুগের বেশি সময় ধরে সংগীতের শিক্ষকতা করছেন। দেশের অনেক বড় শিল্পী তার কাছ থেকে সংগীতের দীক্ষা গ্রহণ করেছেন। সেই বাবার কাছ থেকেই গানে হাতে খড়ি। এরপর ২০১১ সালে প্রাণ পাওয়ার ভয়েসের শিল্পী হিসেবে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করি। তারপর থেকে গান করছি নিয়মিতই।
কোন গান দিয়ে শ্রোতারা রেশমী মির্জাকে চিনেছে?
আমার গাওয়া দুটি গান মীর মাসুমের সুর ও সংগীত করা ‘নিন্দুকের মুখে ছাই’ আর ডিজে রাহাত ফিচারিং বিজয় সরকারের ‘আমি যারে ভালোবাসি’ শিরোনামের গানের মিউজিক ভিডিও দিয়ে। মূলত গানের এই দুটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশের পর থেকেই শ্রোতাদের মাঝে আমার আলাদা একটি পরিচিতি হয়। অন্যদিকে আমার ব্যান্ড দল ‘রেশমী অ্যান্ড মাটি’ আমাকে পরিচিত করার পেছনে দারুণ ভূমিকা রেখেছে।
গান নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?
দেড় বছর কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এর মাঝে গান করেছি তাপস দার ‘উইন্ড অব চেঞ্জ, ক্লোজআপ ফিউশন লাউঞ্জ, পাওয়ার লাউঞ্জ অনুষ্ঠানে। দেশ ও দেশের বাইরে বড় বড় কনসার্টে গান করেছি। ২০১৬-এর শেষে এসে ‘মাটি’ ভিডিওটি করেছি কিন্তু এখনো রিলিজ হয়নি। মাটির পর ‘পোড়ামন’ নামে আরেকটি মিউজিক ভিডিও করেছি। এটাও এখনো রিলিজ হয়নি। অন্যদিকে অটোমনাল মুন ভাইয়ের ‘পাগল’ গানটি রেডি করছি। সামনে মৌলিক গান আসবে। নতুন অ্যালবামের জন্য রেডি হচ্ছি। এখন কনসার্টের সিজন বলে বিভিন্ন স্থানে গান করা নিয়ে ব্যস্ত থাকছি।
মিউজিক ভিডিও করার সিদ্ধান্ত কেন?
‘নিন্দুকের মুখে’ গানটি ২০১৪ সালে ‘পাওয়ার প্রজেক্ট’ নামে মিক্সড অ্যালবামে প্রকাশ পায়। অ্যালবামে পাওয়ার অব ভয়েসের সের এগারোজনের গান ঠাঁই পেয়েছিল। আমি সেই তালিকায় নবম ছিলাম। অন্যদিকে ‘আমি যারে ভালোবাসি’ গানটি সবার কাছে ভালো লেগেছিল। গানগুলো নিজের কাছে খুব ভালো লেগেছিল। কাছের মানুষরাও বলছিলেন বেশ হয়েছে। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই মিউজিক ভিডিও করার সিদ্ধান্ত নিই। ভিডিও দুটি দিয়ে আমি দারুণ সাড়া পেয়েছি।
বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল তো করেছেন। ছবিতে কি প্লেব্যাক করেছেন?
প্রথম প্লেব্যাক করি ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ‘অ্যাকশন জেসমিন’ চলচ্চিত্রের থিম সং ‘অ্যাকশন জেসমিন’ গানটি। গানটি লিখেছেন জিয়া উদ্দিন আলম, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আহম্মেদ হুমায়ন। প্রাণ গ্রুপের পণ্যের বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দেওয়াসহ আরও কিছু জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছি।
গান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
অনেক বড় শিল্পী হওয়ার বাসনা তো রয়েছেই। বাবার কাছে হাতে খড়ি নিয়ে সেই ছোটবেলা থেকেই মঞ্চে মঞ্চে গান গেয়ে বেড়িয়েছি। পাওয়ার ভয়েসের সুবাদে দেশের বাইরেও গান করার সৌভাগ্য হয়েছে। মিক্সড অ্যালবাম ও একক অ্যালবামে কাজ করেছি। গান করে যেতে চাই। মাটি ও মানুষের শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।