রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটেছে এবং অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছে এমন নায়িকার সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তারা আসছেন, কেউ সাফল্য পাচ্ছেন, কারওবা অভিনীত ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। সব মিলিয়ে চলচ্চিত্র জগতে তরুণ সুন্দরী নায়িকাদের হালচাল বেশ ভালোই বলা চলে। যেমন- জাহারা মিতু। শাকিব খানের নায়িকা হয়ে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান ‘আগুন’ চলচ্চিত্রে। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত এ চলচ্চিত্রের শুটিং ২০১৯ সালে শুরু হলেও চলচ্চিত্রটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। প্রথম চলচ্চিত্রের কাজ শেষ না হতেই শামীম আহমেদ রনির ‘কমান্ডো’ চলচ্চিত্রে মিতু জুটি বাঁধেন কলকাতার নায়ক দেবের বিপরীতে। চলচ্চিত্র দুটি আজও মুক্তি পায়নি। এরই মধ্যে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘জয় বাংলা’ চলচ্চিত্রে কাজ করছেন মিতু। এটি মুক্তি পেয়েছে। নিশাত নাওয়ার সালওয়া মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। এটি ছাড়াও সালওয়া কাজ করেন প্রয়াত অভিনেত্রী ও পরিচালক কবরীর পরিচালনায় চলচ্চিত্র ‘এই তুমি সেই তুমি’তে। এ চলচ্চিত্রের কাজ শেষ না করেই মারা যান কবরী। এ ছাড়া এ অভিনেত্রী কাজ করেন ‘বীরত্ব’ ও ‘বুবুজান’ চলচ্চিত্রে। মডেল-অভিনয়শিল্পী শাহ হুমায়রা সুবাহ অভিনীত রফিক শিকদারের ‘বসন্ত বিকেল’ মুক্তি পেয়েছে। মোহাম্মদ আসলামের ‘বদলা’ ও ‘সমাধান’, দেওয়ান নাজমুল পরিচালিত ‘তোরে কত ভালোবাসি’ এবং আবদুল মান্নান পরিচালিত ‘মন বসেছে পড়ার টেবিলে’ এখন আছে তার হাতে। সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড নির্মাণ করেন ‘রোহিঙ্গা’। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে আরশির। শাহনাজ সুমি, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘পাপপুণ্য’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক তাঁর। রায়হান রাফীর ‘দামাল’ চলচ্চিত্রেও কাজ করেন তিনি। ‘পাপপুণ্য’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ফারজানা চুমকির। ফজলুল কবির তুহিনের সিনেমা ‘গাঙকুমারি’তে কাজ করেন তাহুয়া লাভিব তুরা। সামিনা বাশার, অপারেশন সুন্দরবন সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হয়েছেন। তাঁর ‘মোনা জ্বীন টু’ও মুক্তি পেয়েছে, ‘মাসুদ রানা’ ও ‘বারুদ’ সিনেমায়ও দেখা যাবে তাঁকে। ‘মানব দানব’ চলচ্চিত্রের নায়িকা রাশিদা জাহান শালুক। উষ্ণ হক, সাফি উদ্দীন সাফির ‘সিক্রেট এজেন্ট’ চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি। এছাড়া সাইফ চন্দনের ‘ওস্তাদ’ এবং অপূর্ব রানা ‘জলরং’ চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। নাজিরা মৌ অভিনয় করেন ‘নন্দিনী’ চলচ্চিত্রে। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। জাহিদ হোসেনের ‘সোনার চর’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে জান্নাতুল ফেরদৌস স্নিগ্ধার। একই নির্মাতার ‘সুবর্ণভূমি’ নামের আরেকটি সিনেমায় কাজ করেছেন। দুটি সিনেমায়ই কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবীন এ নায়িকা। এ ছাড়া ‘পাপী’ নামে আরও একটি ছবি রয়েছে তাঁর হাতে। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন চলচ্চিত্রের নতুন মুখ মন্দিরা চক্রবর্তী। তাঁর অভিনীত গিয়াসউদ্দীন সেলিম পরিচালিত ‘কাজল রেখা’ মুক্তি পেয়ে এতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এখন মুক্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে মিঠু খান পরিচালিত মন্দিরা অভিনীত চলচ্চিত্র ‘নীলচক্র’। নাজিফা তুষির প্রথম ছবি ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’। এ ছবিটি নায়িকা হিসেবেও তাঁকে পরিচিতি এনে দেয়। ‘হাওয়া’ ছবির নায়িকা হয়েও অল্প সময়ে ব্যাপক পরিচিতি পান। তুষির ছবির ঝুলিতে রয়েছে ‘সিন্ডিকেট’, ‘আইসক্রিম’ ও ‘স্কুটি’সহ বেশকটি ফিল্ম এবং ওয়েবফিল্ম। প্রয়াত নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুলের ‘কালবেলা’ সিনেমায় অভিষেক তাহমিনা অথৈর।
অথৈ মানিক মানবিকের ‘আজব ছেলে’ ছবিতে অভিনয় করছেন। এ ছাড়া রায়হান আনোয়ারের পরিচালনায় ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’ ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। সাদিয়া আয়মান অভিনয় করেছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’ চলচ্চিত্রে। নির্মাতা তাঁকে একদম নিষ্পাপ চেহারায় তুলে ধরেছেন। সাদিয়া সেটাকে ধারণ করতে পেরেছেন। ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দিলরুবা দোয়েল এবং প্রশংসা পেয়েছেন। এরপর তাঁকে দেখা যায় জাজের সিনেমা ‘পটু’তে। সিনেমা ‘পাপ’ দিয়ে ঢালিউডে পা রাখলেন আরিয়ানা জামান। চিত্রনায়ক নিরবের সঙ্গে ‘স্পর্শ’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন আরিয়ানা। বেশ কয়েক বছর মডেলিং করেছেন। এ ছাড়া ওয়েবফিল্ম ‘মহানগর টু’তেও দেখা গেছে তাঁকে এবং তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়ায়। জান্নাতুল ঐশী মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’ সিনেমা দিয়ে পরিচিতি পান। এ ছাড়া ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমা দিয়েও বেশ পরিচিতি এসেছে ঐশীর। ‘আদম’ নামের একটি সিনেমায়ও কাজ করেন। এ ছাড়া ‘মিশন এক্সট্রিম-টু’ সিনেমার নায়িকাও তিনি। সব মিলিয়ে দেশীয় চলচ্চিত্রের ভালো-মন্দ সময়েও এ অঙ্গনে আসছে নতুন নায়িকা হয়ে অনেকে এবং তারা সাফল্যের আলোও জ্বালাচ্ছেন।