গানের ভাণ্ডারে ডুবে আছি : রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
বাংলা সাহিত্যের মতোই বাংলা গানের ভুবনেও ধ্রুবতারা রবীন্দ্রনাথ। আমি তারই বন্দনা করি। অনেক গানের কথামালা তিনি দিয়ে গেছেন আমাদের। তার গানের পসরা অনেক বিশাল। আমি এখনো যখন রবীন্দ্রনাথের কোনো গান গলায় ধারণ করতে যাই, আমি যেন সত্যি সত্যি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে হারিয়ে যাই। আসলে আমি তার গানের ভাণ্ডারে ডুবে আছি। প্রতিটি বাণীই জীবনের সুন্দর বোধ। নিজের মন, সংসার ও সমাজ- সবখানেই রবীন্দ্রনাথের দর্শন চমৎকার।
গানে জীবনের নির্যাস রয়েছে : মিতা হক
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসংখ্য গান লিখেছেন। গানগুলোতে জীবনের নির্যাস রয়েছে। প্রতিটি পঙ্ক্তিতে রয়েছে গভীর দর্শন। নিজের জীবনের বিশেষ মুহূর্তেও কিছু গান লিখেছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিটি সৃষ্টিকর্মই অনন্য। তার জীবনের কিছু বাঁক রয়েছে। তিনি যা, তার সৃষ্টিকর্মগুলোতেও তার প্রতিফলন হয়েছে। যেমন সুস্পষ্ট ছাপ এসেছে। রবীন্দ্রনাথের ছেলে মারা যাওয়ার পর তিনি লিখেছিলেন, 'আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে' গানটি। রবীন্দ্রনাথের গীতি নৃত্যনাট্য 'মায়ার খেলা' ও 'বাল্মীকি প্রতিভা'র গান। আর রবীন্দ্রসংগীত আমার অঙ্গে জড়িয়ে আছে। তার দর্শন, তার জীবনবোধ সঙ্গে নিয়ে সারাজীবন চলতে চাই। কারণ, তার প্রতিটি ভাবনাই জীবনে বাস্তবতা কিংবা সর্বকালীন বাস্তবতার জীবন-ভাবনা।
রবীন্দ্রনাথের মধ্যে আমার জীবনকে খুঁজে পাই : সাদী মহম্মদ
আমি গীতবিতান পড়তে পড়তে হারিয়ে যাই রবীন্দ্রনাথের ভাবনার জগতে। আমার হাসি-আনন্দ, সুখ-দুঃখ সবটা জুড়ে আছে রবীন্দ্রনাথ। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের মুখ দেখতে চাই। তাই বিছানা ছেড়ে সোজা চলে যাই মায়ের ঘরে। রাতে ঠিকমতো ঘুম হলো কি-না, সকালে কী খাবে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিই। ঠিক তেমনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেও আমার সম্পর্ক। রবীন্দ্রনাথের মধ্যে আমার জীবনের সবকিছু খুঁজে পাই। আমার হাসি-আনন্দ, সুখ-দুঃখ, জীবন-যাপনের সবটা জুড়েই থাকেন রবীন্দ্রনাথ। ২৫ বৈশাখ তার জন্মদিন, কিন্তু আমার কাছে তার অস্তিত্ব সারাক্ষণ। রবীন্দ্রনাথের ভক্ত মানেই যে পাঞ্জাবি পরে ঘুরতে হবে এমনটা কিন্তু নয়। রবীন্দ্রনাথকে অন্তরে ধারণ করতে হবে।
আমার জীবনের আলোকবর্তিকা তিনি : অনিমা রায়
আজকের এই আমি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অনিমা রায় বলতে গেলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই দান। আমার চলার পথের পাথেয় হয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন বিশ্বকবি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তা-চেতনা, মন-মানসিকতা ও বোধের পরিবর্তন এবং আমার জীবন সঞ্চালন সবই রবীন্দ্র-ভাবনাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। এই যে এখন আমি রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছি তাও কিন্তু রবীন্দ্রনাথের কল্যাণেই। এ জন্য আমি গর্বিত, বিধাতার কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ, বিধাতা আমাকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন। জীবন পথের পাথেয় হিসেবে রবীন্দ্রনাথের গানকে বেছে নিয়েছিলাম বলে আজকের এই অবস্থানে এসে মনে হচ্ছে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। কারণ, কবিগুরুর মতো এত বিশাল মাপের একজন মানুষের কর্মযজ্ঞকে নিজের মধ্যে ধারণ করে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া সত্যিই পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। এ জন্য বিধাতাকে বার বার কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি। কারণ, তার সাহিত্য, গানসহ অমর সব সৃষ্টি আজ বাঙালি সত্ত্বাকে পূর্ণতা আর আমার মত ক্ষুদ্র মাপের একজন মানুষের জীবনে আলোকবর্তিকা জ্বেলে দিয়েছে।