ঢালিউডে রবীন্দ্র রচনাবলি থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। খবরটি দুঃখজনক হলেও সত্যি। এখন পর্যন্ত নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে শাস্তি, সুভা এবং কাবুলিওয়ালা। শেষটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র। আর তাই রবীন্দ্র নায়িকা হিসেবে করলে প্রথম দুটি থেকেই করতে হবে। দুটি ছবিতেই অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা। চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম এ দেশে রবীন্দ্রনাথের গল্প নিয়ে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র 'শাস্তি'। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন পূর্ণিমা। এরপর ২০০৬ সালে এক নির্মাতা নির্মাণ করেন 'সুভা'। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন পূর্ণিমা। আর তাই বাংলাদেশের বড়পর্দায় রবীন্দ্র নায়িকা বলতে পূর্ণিমাই। সমালোচকদের মতে, পর্দায় রবীন্দ্রনাথের নারী চরিত্রের মতোই নিজেকে সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন তিনি।
অভিনয় করে তৃপ্তিবোধ এবং গর্ববোধও রয়েছে নায়িকার। পূর্ণিমা বলেন, 'আমাদের জীবনে রবীন্দ্রনাথের অবস্থান অনেক শক্ত। তার রচিত চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি, ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি কিংবা চরিত্র চিত্রণের সুযোগ পেয়েছি_ যেভাবেই ভাবি না কেন, আমি খুব সৌভাগ্যবতী।'
রবীন্দ্রনাথ বাঙালির কবি। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে ৪৩ বছরে রবীন্দ্র সাহিত্য নিয়ে মাত্র তিনটি চলচ্চিত্র হওয়ায় চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের বয়স ৬০ বছরের মতো। বিভিন্ন গল্পকাহিনী নিয়ে এখানে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। অথচ নির্মাতাদের মধ্যে অনেকেই রবীন্দ্র সাহিত্য নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা ভাবেননি। কেন ভাবেননি সে প্রশ্নটা আমারও। মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র ছিল রবীন্দ্রনাথের গান। আমাদের জাতীয় সংগীতও তার রচিত। অথচ আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতারা এদিকটি কখনো খতিয়ে দেখেননি।