রাজ্জাক
নয় মাসের মুক্তি যুদ্ধ করে সুন্দর একটি সোনার বাংলা চেয়েছিলাম। মানুষের মুখে হাসি ফুটবে ভেবেছিনাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, এখন শুধু হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতা। এর জন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দায়ী। তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমরা সাধারণ মানুষ বিপাকে পরব কেন? এখনো সময় ফুড়িয়ে যায়নি। আমি প্রত্যাশা করব, দলগুলোর মধ্যে সুবুদ্ধির উদয় হবে। সবাই মিলেমিশে একটি সুন্দর একটি দেশ গড়ে তুলুক। মত ও পথের পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দেশ সব কিছুর ঊর্ধ্বে। এই কথা মনে রাখতে হবে। তবেই সব সম্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ড. ইনামুল হক
পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। আমি টকশো দেখে অবাক হই, সরাসরি কেউ এসব তাণ্ডব বন্ধের কথা বলে না। সবাই বিভিন্নভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলে। আগে তো বলা উচিত, আপনারা এসব বন্ধ করেন। কিন্তু না। কারণ, অনেকেই স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে। তারা চায়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে সমাধানের পথ বের করতে। আর শিক্ষিত সমাজ কিংবা সচেতন মানুষ যখন ইঙ্গিতে এসব কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে আলোচনার পথ বের করার কথা বলে তখন সন্ত্রাসীরা অনুপ্রেরণা পায়। তাই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আমাদের আগে ভাবতে হবে, দেশ এবং দেশের মানুষ আগে, তারপর অন্যসব।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার
এদেশের সাধারণ মানুষ ও সংস্কৃতিমনা মানুষদের মনে একটাই প্রত্যাশা- দুই দলের নেত্রীকে আলোচনার টেবিলে আসতে হবে এবং সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের সংস্কৃতমনা মানুষদের একত্রিত হয়ে দুই দলের নেত্রীর কাছে যেতে হবে এবং সমসাময়িক পরিস্থিতিকে তুলে ধরতে হবে। বর্তমানে টিভি টকশোগুলোতে সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত থাকলেও উদ্যোগ নেই কারও মনে। আমি মনে করি দলগুলোর মধ্যে সুস্থ মানসিকতা জন্ম নিলেই সমস্যার সমাধান হবে।
সোহেল রানা
এই সমস্যার সমাধান যদি আমাদের জানা থাকত, তাহলে টিভি টকশোর মধ্য দিয়েই সমাধান হয়ে যেত। আসলে টিভি টকশোতে যে সব জ্ঞানি-গুণী ব্যক্তিরা কথা বলেন তারা আগুনে পানি নয় মদ ঢালেন। এতে করে সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেন। তারা সমস্যার সমাধান না খুঁজে একে অন্যকে দোষারোপ করেন। তাতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ত, আমাদের দুই নেত্রীকে যারা ঘিরে রেখেছেন তারা অনেক সময় প্রকৃত ঘটনাটিকে প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছতে দেন না। বিশেষ করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চারপাশে ঘিরে আছে কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েই চলেছেন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। তাই সমস্যার সমাধান জানি না।
নার্গিস আক্তার
দেশের এই অস্থির পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার। অস্থিতিশীল ও স্থবির হয়ে পড়েছে সবকিছু। এর দ্রুত সমাধান না হলে আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। দারিদ্র্য ও অপরাধ প্রবণতাও বেড়ে যাবে। তাই আমাদের কাম্য রাজনৈতিকভাবেই হোক আর অন্যভাবেই হোক এ সমস্যা থেকে যেন আমরা সাধারণ মানুষ পরিত্রাণ পাই। শান্তি ও কল্যাণের জন্য সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।