জন্ম লন্ডনে এবং মা কাশ্মীরের ভারতীয় অংশের নাগরিক হলেও পিতৃপরিচয় সূত্রে পাকিস্তানি হিসেবে খ্যাত গায়ক আদনান সামি। আর এ পরিচয়ে তিনি মোটেই খুশি নন। কারণ ভারতে এসেই তিনি নিজেকে গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। নিজের প্রতিভার যোগ্য মূল্য পাওয়ায় আদনান ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ২০১৫ সালে তা পেয়েও যান।
জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হওয়ার পরও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ায় চটেছে পাকিস্তানিরা। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তাকে নিয়ে করা বিভিন্ন ট্রল। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে আদনান জানান, পাকিস্তানিরা শিল্পীর কদর করে না।
আদনান ক্ষুব্ধ হয়ে জানান, প্রথম দিকে কিংবদন্তি গায়ক নুসরাত ফতেহ আলি খানের প্রতিভাকে মূল্য দেয়নি পাকিস্তান। যখন ইংরেজ গীতিকার পিটার গ্যাব্রিয়েল তাকে সহায়তা করেন, তখন সারা পাকিস্তান নুসরাত ফতেহ আলি খানের প্রশংসায় ফেটে পড়ে। এর আগে কিন্তু তা করেনি।
জানা যায়, আদনান ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করলে পাকিস্তান তাকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সম্পর্কে আদনান উল্লেখ করেন, পাকিস্তান সরকারের এ বাজে ব্যবহারই প্রমাণ করে তারা নিজেদের শিল্পীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে। আদনান ভারতের নাগরিক হতে পেরে খুবই আনন্দিত। কারণ এ দেশ থেকে তিনি প্রচুর ভালোবাসা ও সহায়তা পেয়েছেন।
২০১৬ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে হামলা নিয়ে কেন পাকিস্তানি শিল্পীরা এগিয়ে এলেন না, এ প্রসঙ্গে আদনান অন্যদের ভূমিকার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, তাদের সরকারবিরোধী কথা বলার প্রয়োজন নেই। তবে সাধারণ মানুষের পক্ষ অবলম্বন করে তাদের প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিল।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান