বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা

পিছিয়েছে খালেদা জিয়ার রিট শুনানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে বন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি আবারও পিছিয়েছে। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপিত হলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুনানি করতে চান না বলে জানান। পরে নট টুডে আদেশ দেয় আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। এর আগে সোমবার খালেদা জিয়ার আবেদনটি হাই কোর্টের কার্যতালিকায় আসলে, প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন উল্লেখ করে সময় চেয়েছিলেন তার আইনজীবীরা। এরপর মামলাটি মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় আসলে তার ওপর শুনানি না করে আবারও নিলেন তারা। পরে কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার বেআইনিভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রেখেছে। তিনি সেখানে বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন। চিকিৎসা পাওয়া তার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। সেই অধিকার থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকার তাকে বার বার বঞ্চিত করছে। এর প্রতিকার চেয়ে আমরা হাই কোর্টে একটি রিট দায়ের করি। তিনি বলেন, সেই রিট আবেদনটি হাই কোর্টের কার্যতালিকায় ছিল। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, আজকে (মঙ্গলবার) আমরা আবেদনটি পরিচালনা করতে চাই না। তখন আদালত এর কারণ জানতে চাইলেন। তখন সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, এ বিষয়ে সরকার এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কায়সার বলেন, যেহেতু সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে তাই আমরা আশা করছি, অন্যান্য অধিকার ক্ষুণ্ন হলেও তাকে সরকার চিকিৎসা দেবে। সেই প্রত্যাশায় সরকারের পদক্ষেপ আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং সময় নিচ্ছি। পরে আদালত নট টুডে আদেশ দেয় বলেও জানান কায়সার কামাল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।

সর্বশেষ খবর